১২:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ভেঙে দেওয়া হলো নেপালের সংসদ, মার্চে নতুন নির্বাচন

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট: ১১:৩৫:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ১৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নেপালের সংসদ ভেঙে দিয়েছেন দেশটির রাষ্ট্রপতি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নতুন প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কির সুপারিশের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ২০২৬ সালের ৫ মার্চ দেশটিতে নতুন সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

প্রেসিডেন্টের প্রেস উপদেষ্টা কিরণ পোখরেল শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ৯টার দিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন নেপালের সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি। ছোট পরিসরে গঠিত এই মন্ত্রিসভার মেয়াদ হবে ৬ মাস, যার মধ্যে তারা নির্বাচনের আয়োজন সম্পন্ন করবে।

সুশীলার শপথ গ্রহণের আগে প্রেসিডেন্ট, সেনাপ্রধান অশোক রাজ সিগদেল এবং চলমান ‘জেন-জি বিপ্লব’ আন্দোলনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সর্বসম্মতিক্রমে তাকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী করার সিদ্ধান্ত হয়। এর মাধ্যমে নেপালের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো নারী অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিলেন তিনি।

শপথ নেওয়ার পর আবেগঘন মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী কার্কির পা ছুঁয়ে আশীর্বাদ নেন ‘জেন-জি বিপ্লবের’ নেতৃত্ব দেওয়া তরুণ নেতা সুদান গুরুং।

এদিকে, গত সপ্তাহে জেন-জি বিক্ষোভ প্রাণঘাতী সংঘাতে রূপ নিলেও এর সূত্রপাত আরও আগে। হিমালয়ের কোলঘেঁষা এই দেশটিতে দারিদ্র্য থাকা সত্ত্বেও রাজনৈতিক নেতা ও প্রভাবশালীদের সন্তানদের বিদেশে বিলাসী জীবনযাপন জনরোষ সৃষ্টি করেছিল।

সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকারের দুর্নীতি ও অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। সরকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কড়াকড়ি আরোপ করলে তা উল্টো বুমেরাং হয়ে যায়। প্রতিবাদকারীরা রাস্তায় নেমে ৮ সেপ্টেম্বর পার্লামেন্ট ভবনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন।

বিক্ষোভ দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলপ্রয়োগ করলে সেদিনই ১৯ জন নিহত হন। পরবর্তীতে এ সংখ্যা বেড়ে ৫১ জনে দাঁড়িয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে সুশীলা কার্কি নেপালের প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

Please Share This Post in Your Social Media

ভেঙে দেওয়া হলো নেপালের সংসদ, মার্চে নতুন নির্বাচন

আপডেট: ১১:৩৫:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নেপালের সংসদ ভেঙে দিয়েছেন দেশটির রাষ্ট্রপতি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নতুন প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কির সুপারিশের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ২০২৬ সালের ৫ মার্চ দেশটিতে নতুন সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

প্রেসিডেন্টের প্রেস উপদেষ্টা কিরণ পোখরেল শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ৯টার দিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন নেপালের সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি। ছোট পরিসরে গঠিত এই মন্ত্রিসভার মেয়াদ হবে ৬ মাস, যার মধ্যে তারা নির্বাচনের আয়োজন সম্পন্ন করবে।

সুশীলার শপথ গ্রহণের আগে প্রেসিডেন্ট, সেনাপ্রধান অশোক রাজ সিগদেল এবং চলমান ‘জেন-জি বিপ্লব’ আন্দোলনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সর্বসম্মতিক্রমে তাকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী করার সিদ্ধান্ত হয়। এর মাধ্যমে নেপালের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো নারী অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিলেন তিনি।

শপথ নেওয়ার পর আবেগঘন মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী কার্কির পা ছুঁয়ে আশীর্বাদ নেন ‘জেন-জি বিপ্লবের’ নেতৃত্ব দেওয়া তরুণ নেতা সুদান গুরুং।

এদিকে, গত সপ্তাহে জেন-জি বিক্ষোভ প্রাণঘাতী সংঘাতে রূপ নিলেও এর সূত্রপাত আরও আগে। হিমালয়ের কোলঘেঁষা এই দেশটিতে দারিদ্র্য থাকা সত্ত্বেও রাজনৈতিক নেতা ও প্রভাবশালীদের সন্তানদের বিদেশে বিলাসী জীবনযাপন জনরোষ সৃষ্টি করেছিল।

সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকারের দুর্নীতি ও অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। সরকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কড়াকড়ি আরোপ করলে তা উল্টো বুমেরাং হয়ে যায়। প্রতিবাদকারীরা রাস্তায় নেমে ৮ সেপ্টেম্বর পার্লামেন্ট ভবনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন।

বিক্ষোভ দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলপ্রয়োগ করলে সেদিনই ১৯ জন নিহত হন। পরবর্তীতে এ সংখ্যা বেড়ে ৫১ জনে দাঁড়িয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে সুশীলা কার্কি নেপালের প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।