১১:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

ভারতে আতশবাজির গুদামে বিস্ফোরণে ২১ নিহত

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট: ০২:২৮:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ এপ্রিল ২০২৫
  • / ১৩৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের গুজরাটের বনাসকণ্ঠ জেলায় একটি আতশবাজির গুদামে বিস্ফোরণে শিশুসহ অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৬ জন। এছাড়া ভেতরে বেশ কয়েকজন শ্রমিক আটকা পড়েন বলে জানা গেছে।

সংবাদ মাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে গুদামটিতে বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে যায়। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে ভবনের একাংশ ভেঙে পড়ে। ফলে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েন অনেকে।

গুদামটিতে অবৈধ ভাবে আতশবাজি তৈরি ও মজুত রাখা হচ্ছিল বলে অভিযোগ আছে। ঘটনাস্থলে কারখানার শ্রমিকরা ছাড়াও তাদের পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। ওই গুদামের একটা অংশে শ্রমিকরা তাদের পরিবার নিয়ে থাকতেন।

বানাসকণ্ঠ জেলার পুলিশ সুপার অক্ষয়রাজ মাকওয়ানা জানান, খবর পাওয়া মাত্রই স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্ধার কাজ শুরু করা হয়। এখন পর্যন্ত ২১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশের ওই কর্মকর্তা বলেন, ভবনের একটি স্ল্যাব ধসে পড়ায় মৃত্যু হয়েছে এত মানুষের। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমরা তদন্ত শুরু করেছি। জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে, বাজি তৈরির কাজ চলার সময়ই বিস্ফোরণ ঘটে। হঠাৎ বিকট শব্দ শুনতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে ঘটনার সময় ঠিক কতজন উপস্থিত ছিলেন, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া জানা যায়নি।

এদিকে, বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় শোক জানিয়েছেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেন্দ্র প্যাটেল। নিহতের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

সূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

Please Share This Post in Your Social Media

ভারতে আতশবাজির গুদামে বিস্ফোরণে ২১ নিহত

আপডেট: ০২:২৮:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ এপ্রিল ২০২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের গুজরাটের বনাসকণ্ঠ জেলায় একটি আতশবাজির গুদামে বিস্ফোরণে শিশুসহ অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৬ জন। এছাড়া ভেতরে বেশ কয়েকজন শ্রমিক আটকা পড়েন বলে জানা গেছে।

সংবাদ মাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে গুদামটিতে বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে যায়। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে ভবনের একাংশ ভেঙে পড়ে। ফলে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েন অনেকে।

গুদামটিতে অবৈধ ভাবে আতশবাজি তৈরি ও মজুত রাখা হচ্ছিল বলে অভিযোগ আছে। ঘটনাস্থলে কারখানার শ্রমিকরা ছাড়াও তাদের পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। ওই গুদামের একটা অংশে শ্রমিকরা তাদের পরিবার নিয়ে থাকতেন।

বানাসকণ্ঠ জেলার পুলিশ সুপার অক্ষয়রাজ মাকওয়ানা জানান, খবর পাওয়া মাত্রই স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্ধার কাজ শুরু করা হয়। এখন পর্যন্ত ২১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশের ওই কর্মকর্তা বলেন, ভবনের একটি স্ল্যাব ধসে পড়ায় মৃত্যু হয়েছে এত মানুষের। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমরা তদন্ত শুরু করেছি। জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে, বাজি তৈরির কাজ চলার সময়ই বিস্ফোরণ ঘটে। হঠাৎ বিকট শব্দ শুনতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে ঘটনার সময় ঠিক কতজন উপস্থিত ছিলেন, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া জানা যায়নি।

এদিকে, বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় শোক জানিয়েছেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেন্দ্র প্যাটেল। নিহতের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

সূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস