১০:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রে বাড়ছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের চাহিদা, প্রবৃদ্ধি ৪৬ শতাংশ

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট: ১০:৫০:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫
  • / ১৫১

নিজস্ব প্রতিবেদক :. গত এক বছরের ব্যবধানে চলতি জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে চীন-ভিয়েতনামের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে বাংলাদেশ। এমনকি প্রবৃদ্ধির এ হার চীন, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, ভারতসহ শীর্ষ পোশাক রপ্তানিকারক দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ।

মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (অটেক্সা) হালনাগাদ তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।

বিজিএমইএ জানায়, চলতি বছরের জানুয়ারিতে মার্কিন বাজারে ৭৯ কোটি ৯৭ লাখ ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। এক বছর আগের তুলনায় ৪৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ বেশি। গত বছরের জানুয়ারিতে এর পরিমাণ ছিল ৫৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার।

একই সময়ে চীন ও ভিয়েতনাম মার্কিন বাজারে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি লাভ করেছে মাত্র ১৩ দশমিক ৭২ শতাংশ ও ১৯ দশমিক ৯০ শতাংশ।

আর প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তান মার্কিন বাজারে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি করেছে যথাক্রমে ৩৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ ও ১৭ দশমিক ৫০ শতাংশ।

এদিকে, বিজিএমইএ এই প্রবৃদ্ধিকে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের ঐতিহাসিক অর্জন হিসেবে বিবেচনা করছে এবং এটি বাংলাদেশের রপ্তানি খাতে একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য হিসেবে গণ্য হচ্ছে। বিজিএমইএ আরও জানিয়েছে যে, বাংলাদেশের পোশাক শিল্প মার্কিন বাজারে অধিক গুরুত্ব পাচ্ছে এবং এই প্রবৃদ্ধি আরও দীর্ঘমেয়াদী হতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের পোশাকের চাহিদা বাড়ানোর প্রধান কারণ হলো বাংলাদেশের উৎপাদন ক্ষমতা, দক্ষ শ্রম, এবং উন্নত মানের পোশাক উৎপাদন। এছাড়া, বাংলাদেশের রপ্তানি খাতে সরকারের প্রণোদনা ও সুবিধাগুলিও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

যুক্তরাষ্ট্রে বাড়ছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের চাহিদা, প্রবৃদ্ধি ৪৬ শতাংশ

আপডেট: ১০:৫০:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক :. গত এক বছরের ব্যবধানে চলতি জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে চীন-ভিয়েতনামের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে বাংলাদেশ। এমনকি প্রবৃদ্ধির এ হার চীন, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, ভারতসহ শীর্ষ পোশাক রপ্তানিকারক দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ।

মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (অটেক্সা) হালনাগাদ তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।

বিজিএমইএ জানায়, চলতি বছরের জানুয়ারিতে মার্কিন বাজারে ৭৯ কোটি ৯৭ লাখ ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। এক বছর আগের তুলনায় ৪৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ বেশি। গত বছরের জানুয়ারিতে এর পরিমাণ ছিল ৫৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার।

একই সময়ে চীন ও ভিয়েতনাম মার্কিন বাজারে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি লাভ করেছে মাত্র ১৩ দশমিক ৭২ শতাংশ ও ১৯ দশমিক ৯০ শতাংশ।

আর প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তান মার্কিন বাজারে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি করেছে যথাক্রমে ৩৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ ও ১৭ দশমিক ৫০ শতাংশ।

এদিকে, বিজিএমইএ এই প্রবৃদ্ধিকে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের ঐতিহাসিক অর্জন হিসেবে বিবেচনা করছে এবং এটি বাংলাদেশের রপ্তানি খাতে একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য হিসেবে গণ্য হচ্ছে। বিজিএমইএ আরও জানিয়েছে যে, বাংলাদেশের পোশাক শিল্প মার্কিন বাজারে অধিক গুরুত্ব পাচ্ছে এবং এই প্রবৃদ্ধি আরও দীর্ঘমেয়াদী হতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের পোশাকের চাহিদা বাড়ানোর প্রধান কারণ হলো বাংলাদেশের উৎপাদন ক্ষমতা, দক্ষ শ্রম, এবং উন্নত মানের পোশাক উৎপাদন। এছাড়া, বাংলাদেশের রপ্তানি খাতে সরকারের প্রণোদনা ও সুবিধাগুলিও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।