০৩:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

প্রবাসীর স্ত্রী’র রহস্যজনক মৃত্যু আদালতে মামলা পলাতক পল্লী চিকিৎসক

নিউজ ডেস্ক

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহে পরকীয়ার জেরে প্রবাসীর স্ত্রী’র মৃত্যু নিয়ে আদালতে মামলা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে ডিবি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে অভিযুক্ত গ্রাম্য চিকিৎসক মুক্তার শেখ।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে ঝিনাইদহের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শৈলকুপা আমলী আদালতের বিচারক ফারুক আযম এ আদেশ দেন। গৃহবধু সোনিয়া খাতুনের মামা শশুর মুক্তার হোসেন বাদি হয়ে মামলাটি করেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার আবাইপুর গ্রামের সৌদি প্রবাসী নিজাম উদ্দিনের স্ত্রী সোনিয়া খাতুন দুই সন্তানকে নিয়ে গ্রামে থাকতেন।

চিকিৎসার অজুহাতে ওই বাড়িতে প্রায় আসা যাওয়া করত শৈলকুপার লক্ষণদিয়া গ্রামের পল্লী চিকিৎসক মুক্তার আলী শেখ। নিয়মিত যাতায়াতে সোনিয়া খাতুন ও মুক্তার শেখ অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে মুক্তার শেখকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে উত্তম-মাধ্যম দিয়ে তাড়িয়ে দেয় গ্রামবাসি। এদিকে মুক্তার শেখ ঝিনাইদহ শহরের কালিকাপুর এলাকায় একটি বাসা ভাড়া করে দেয় সোনিয়াকে। সেখানে প্রায় কয়েকমাস আসা যাওয়া করত মুক্তার। গত ১৮ জানুয়ারি শনিবার রাতে লম্পট মুক্তার শেখ কালিকাপুরের বাসায় যায়। ভোররাতে সোনিয়াকে রুমের মধ্যে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পেয়ে সন্তানরা প্রতিবেশীদের খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।

মামলার বাদি মুক্তার হোসেন অভিযোগ করেন, ঘটনার দিন পল্লী চিকিৎসক মুক্তার শেখ কালিকাপুরের বাসায় ছিলো। সোনিয়াকে হত্যা করে রাতেই সে পালিয়ে যায়। পরকীয়া সম্পর্ক না রাখায় মুক্তার শেখ ক্ষুব্ধ হয়ে সোনিয়াকে হত্যা লাশ ঝুলিয়ে রাখে বলে তাদের সন্দেহ।

বক্তব্য জানতে পল্লী চিকিৎসক মুক্তার শেখের সাথে কথার চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। বাদী পক্ষের আইনজীবী এ্যাড আমিনুর ইসলাম বলেন, আমরা আদালতে অভিযোগ দায়ের করেছি। তদন্তে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে বলে তিনি মনে করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ০৩:২৫:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫
২৩

প্রবাসীর স্ত্রী’র রহস্যজনক মৃত্যু আদালতে মামলা পলাতক পল্লী চিকিৎসক

আপডেট: ০৩:২৫:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহে পরকীয়ার জেরে প্রবাসীর স্ত্রী’র মৃত্যু নিয়ে আদালতে মামলা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে ডিবি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে অভিযুক্ত গ্রাম্য চিকিৎসক মুক্তার শেখ।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে ঝিনাইদহের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শৈলকুপা আমলী আদালতের বিচারক ফারুক আযম এ আদেশ দেন। গৃহবধু সোনিয়া খাতুনের মামা শশুর মুক্তার হোসেন বাদি হয়ে মামলাটি করেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার আবাইপুর গ্রামের সৌদি প্রবাসী নিজাম উদ্দিনের স্ত্রী সোনিয়া খাতুন দুই সন্তানকে নিয়ে গ্রামে থাকতেন।

চিকিৎসার অজুহাতে ওই বাড়িতে প্রায় আসা যাওয়া করত শৈলকুপার লক্ষণদিয়া গ্রামের পল্লী চিকিৎসক মুক্তার আলী শেখ। নিয়মিত যাতায়াতে সোনিয়া খাতুন ও মুক্তার শেখ অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে মুক্তার শেখকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে উত্তম-মাধ্যম দিয়ে তাড়িয়ে দেয় গ্রামবাসি। এদিকে মুক্তার শেখ ঝিনাইদহ শহরের কালিকাপুর এলাকায় একটি বাসা ভাড়া করে দেয় সোনিয়াকে। সেখানে প্রায় কয়েকমাস আসা যাওয়া করত মুক্তার। গত ১৮ জানুয়ারি শনিবার রাতে লম্পট মুক্তার শেখ কালিকাপুরের বাসায় যায়। ভোররাতে সোনিয়াকে রুমের মধ্যে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পেয়ে সন্তানরা প্রতিবেশীদের খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।

মামলার বাদি মুক্তার হোসেন অভিযোগ করেন, ঘটনার দিন পল্লী চিকিৎসক মুক্তার শেখ কালিকাপুরের বাসায় ছিলো। সোনিয়াকে হত্যা করে রাতেই সে পালিয়ে যায়। পরকীয়া সম্পর্ক না রাখায় মুক্তার শেখ ক্ষুব্ধ হয়ে সোনিয়াকে হত্যা লাশ ঝুলিয়ে রাখে বলে তাদের সন্দেহ।

বক্তব্য জানতে পল্লী চিকিৎসক মুক্তার শেখের সাথে কথার চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। বাদী পক্ষের আইনজীবী এ্যাড আমিনুর ইসলাম বলেন, আমরা আদালতে অভিযোগ দায়ের করেছি। তদন্তে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে বলে তিনি মনে করেন।