০৪:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মাঘের হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত ডিমলার জনজীবন

নিউজ ডেস্ক

মোঃ বাদশা প্রমান নীলফামারী প্রতিনিধিঃ মাঘের প্রথম সপ্তাহ থেকে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে নীলফামারী জেলাঞ্চল। তিনদিন ধরে দেখা মিলছে না সুর্যের। বৃষ্টির মতো ঝরছে শিশির। তার সঙ্গে উত্তর দিক (হিমালয়ে পাদদেশ) থেকে বয়ে আসা কনকনে ঠান্ডা বাতাসের কারণে বিপর্যস্ত এ অঞ্চলের মানুষের জীবন।

পাচঁ ৫ দিন ধরে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ঘড়ে। আজ ৬ষ্ঠ দিনের মতো ভোর থেকেই ঘন কুয়াশার আবরণে ঢাকা পড়েছে প্রান্তিক এ জেলার প্রকৃতি ও পরিবেশ। হিমশীতল বাতাস ও হার কাপাঁনো ঠান্ডায় বিপর্যস্ত পরিস্থিতি তৈরি করেছে তিস্তা নদী বাহিত এ জনপদের মানুষদের। কনকনে ঠান্ডা ও হিমেল বাতাস থেকে রক্ষা করতে প্রাণীদের গায়ে চটের বস্তা ও পুরোনো কাপড় পরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণে চেষ্টা চালাতে দেখা গেছে গ্রামাঞ্চলের হতদরিদ্র মানুষদের।

প্রয়োজনের বাইরে বিত্তবানরা ঘর থেকে বের না হলেও পেটের তাগিদে কাজে বের হতে দেখা গেছে ভ্যান চালক, নির্মান শ্রমিক,জেলে, দিন মজুর থেকে নিম্ন আয়ের মানুষদের। তাদের মুখে দেখা গেছে আয়-রোজগার কমে যাওয়ার হতাশা ছাব।

উপজেলা ১০নং পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের ভ্যানচালক খয়বর মিয়া বলেন, ঘন কুয়াশা ও ঠান্ডা বাতাসের কারণে কাজে যেতে অসুবিধা হচ্ছে তারপরও পেটের দায়ে রাস্তায় বের হচ্ছি। রাস্তায় বের না হলে পরিবার-পরিজন খাবে কি?তবে,মানুষ কম বের হওয়ায়,আয় রোজগার একেবারে কমে গেছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোঃ রাশেদুজ্জামান বলেন, শীত ও ঠান্ডা জনিত কারণে রোগীর চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধ বেশি আসছে। এদের চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম আমরা খাচ্ছি। তিনি ঠান্ডা থেকে শিশু ও বয়স্কদের নিরাপদে রাখার কথা বলছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল মিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এ অঞ্চলে ঠান্ডার প্রকোপ একটু বেশি। এই শীত মৌসুমে ছিন্নমূল, অসহায় দুস্থ, গরীব ও এতিমখানার শিশুদের ৫ হাজার ৫০০টি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে যা চাহিদার তুলনায় খুবই কম। আরো কম্বলের জন্য চাহিদা পাঠানো হয়েছে।

ডিমলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থেকে মোঃ আব্দুস সবুর বলেন বলেন, মাঘে শুরু থেকে তাপমাত্রা কমছে, ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ছে উত্তরের এ জেলা। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের গতি ৫কিঃমিঃ ও আদ্রতা ৪৮%। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আগামীতে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ০২:৫৬:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫
৪১

মাঘের হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত ডিমলার জনজীবন

আপডেট: ০২:৫৬:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫

মোঃ বাদশা প্রমান নীলফামারী প্রতিনিধিঃ মাঘের প্রথম সপ্তাহ থেকে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে নীলফামারী জেলাঞ্চল। তিনদিন ধরে দেখা মিলছে না সুর্যের। বৃষ্টির মতো ঝরছে শিশির। তার সঙ্গে উত্তর দিক (হিমালয়ে পাদদেশ) থেকে বয়ে আসা কনকনে ঠান্ডা বাতাসের কারণে বিপর্যস্ত এ অঞ্চলের মানুষের জীবন।

পাচঁ ৫ দিন ধরে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ঘড়ে। আজ ৬ষ্ঠ দিনের মতো ভোর থেকেই ঘন কুয়াশার আবরণে ঢাকা পড়েছে প্রান্তিক এ জেলার প্রকৃতি ও পরিবেশ। হিমশীতল বাতাস ও হার কাপাঁনো ঠান্ডায় বিপর্যস্ত পরিস্থিতি তৈরি করেছে তিস্তা নদী বাহিত এ জনপদের মানুষদের। কনকনে ঠান্ডা ও হিমেল বাতাস থেকে রক্ষা করতে প্রাণীদের গায়ে চটের বস্তা ও পুরোনো কাপড় পরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণে চেষ্টা চালাতে দেখা গেছে গ্রামাঞ্চলের হতদরিদ্র মানুষদের।

প্রয়োজনের বাইরে বিত্তবানরা ঘর থেকে বের না হলেও পেটের তাগিদে কাজে বের হতে দেখা গেছে ভ্যান চালক, নির্মান শ্রমিক,জেলে, দিন মজুর থেকে নিম্ন আয়ের মানুষদের। তাদের মুখে দেখা গেছে আয়-রোজগার কমে যাওয়ার হতাশা ছাব।

উপজেলা ১০নং পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের ভ্যানচালক খয়বর মিয়া বলেন, ঘন কুয়াশা ও ঠান্ডা বাতাসের কারণে কাজে যেতে অসুবিধা হচ্ছে তারপরও পেটের দায়ে রাস্তায় বের হচ্ছি। রাস্তায় বের না হলে পরিবার-পরিজন খাবে কি?তবে,মানুষ কম বের হওয়ায়,আয় রোজগার একেবারে কমে গেছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোঃ রাশেদুজ্জামান বলেন, শীত ও ঠান্ডা জনিত কারণে রোগীর চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধ বেশি আসছে। এদের চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম আমরা খাচ্ছি। তিনি ঠান্ডা থেকে শিশু ও বয়স্কদের নিরাপদে রাখার কথা বলছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল মিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এ অঞ্চলে ঠান্ডার প্রকোপ একটু বেশি। এই শীত মৌসুমে ছিন্নমূল, অসহায় দুস্থ, গরীব ও এতিমখানার শিশুদের ৫ হাজার ৫০০টি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে যা চাহিদার তুলনায় খুবই কম। আরো কম্বলের জন্য চাহিদা পাঠানো হয়েছে।

ডিমলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থেকে মোঃ আব্দুস সবুর বলেন বলেন, মাঘে শুরু থেকে তাপমাত্রা কমছে, ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ছে উত্তরের এ জেলা। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের গতি ৫কিঃমিঃ ও আদ্রতা ৪৮%। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আগামীতে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে।