লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, গত রবিবার (১৯ জানুয়ারি) ক্লাস চলাকালীন সময়ে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রুহুল আমিন তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া শিশু শিক্ষার্থী ইমরান হোসেনকে মারধোর করে। এতে করে ইমরান হোসেনের ঠোঁটের উপরে কেঁটে যায় এবং মাথায় ফোলা জখম হয়। এসময় তার ঠোঁট দিয়ে রক্ত বের হয়।
তিনি লিখিত অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন, এর আগে তার কন্যা সুমাইয়া খাতুনকে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় উক্ত শিক্ষক নির্যাতন করেছিল। বিষয়টি স্কুলে জানালে সুমাইয়ার সাথে প্রায়ই খারাপ ব্যবহার করতো শিক্ষক রুহুল আমিন। ফলে তাকে স্কুল থেকে ছাড়িয়ে পার্শ্ববর্তী স্কুলে ভর্তি করাতে বাধ্য হয়েছিল। এদিকে খোঁজ নিয়ে দেখা দেখা গেছে, অভিযুক্ত শিক্ষক রুহুল আমিন একই প্রতিষ্ঠানে ২২ বছর ধরে চাকরি করছেন। এর আগেও উনার বিরুদ্ধে একাধিক শিশু শিক্ষার্থীকে মারপিট এবং রুঢ় আচরণের অভিযোগ রয়েছে। গ্রামের একাধিক অভিভাবক তার বিরুদ্ধে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে মৌখিক অভিযোগ করেছেন। স্কুল পরিচালনা পরিষদের সদস্যবৃন্দ তাকে একাধিকবার সতর্ক ও নিষেধ করার পরও শিক্ষক রুহুল আমিন কাউকে পরোয়া করেন না। বারবার অপরাধ করা স্বত্বেও কোনো শাস্তি মুলক ব্যবস্থা না নেওয়ায় তিনি একের পর এক শিক্ষার্থীকে মারপিট ও তাদের সাথে খারাপ আচরণ করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
সহকারী শিক্ষক রুহুল আমিন বলেন, ঐদিন বাচ্চাটি ক্লাসে অমনোযোগী ছিলো। আমি তাকে কাছে ডেকে নিয়ে পড়তে বলি কিন্তু সে কথা না শোনাতে হাতে থাকা বই দিয়ে একটা বাড়ি দিই। সেটা তার ঠোঁটে লাগে। এর আগেও শিশু নির্যাতনের বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, আগে মারতাম কিন্তু এখন আর মারিনা।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জুলফিকার আলী জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি । কমিটির সাথে আলোচনা করে দেখবো কি করা যায়।
স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সহকারী শিক্ষা অফিসার সঞ্জয় ঘোষাল জানান, অভিযোগ পেয়েছি। উনার বিরুদ্ধে প্রাতিষ্ঠানিক তদন্ত হবে। এতে দোষী সাব্যস্ত হলে বিভাগীয় ভাবে ব্যবস্থা নিতে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
এদিকে ২২ বছর একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে বারবার একই ধরনের অপরাধ করায় উক্ত শিক্ষকের শাস্তি মুলক বদলী দাবি করেছেন একাধিক অভিভাবক।