খেলাধুলা ডেস্ক : চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৭৭ রানে জয় তুলে নিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। বুধবার এ ম্যাচেই মাত্র ১৮ বলে ৫০ তুলে নিয়েছেন লিটন দাস। ৫ চার ও ৩ ছক্কায় তার এই ঝড় ভেঙে দিয়েছে মোহাম্মদ আশরাফুলের ২০০৭ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০ বলে ফিফটি করার রেকর্ড।

লিটনের ক্যারিয়ারসেরা ব্যাটিং আর সাকিবের দুর্দান্ত বোলিংয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই হেসেখেলে সিরিজ জিতেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। বৃষ্টিবিঘ্নিত আগের ম্যাচে প্রথম টি-টোয়ন্টিতে ২২ রানে আয়ারল্যান্ডকে হারায় বাংলাদেশ।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। দুই ওপেনার লিটন দাস এবং রনি তালুকদার শুরুটা করেন। তাদের ব্যাটিংয়ে মাত্র ৩.৩ ওভারেই পঞ্চাশ রান পেরোয়, বাংলাদশের ইতিহাসে যা দ্রুততম দলীয় ফিফটি। লিটন দাসের ফিফটিতে দুই ওপেনারের ঝড়ে ভেঙেছে গত ম্যাচেই গড়া দ্রুততম দলীয় শতকের রেকর্ডও। আগের ম্যাচে ৫৩ বলে ১০০ করা বাংলাদেশ এই ম্যাচে সে মাইলফলক ছুঁয়েছে তার চেয়েও ১০ বল কম খেলে।

লিটন (৮৩) সেঞ্চুরি এবং রনি (৪৪) ফিফটির আক্ষেপ নিয়ে আউট হলেও সাকিব-হৃদয়ের সময়োপযোগী ব্যাটিংয়ে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে দুই শ ছাড়ানো স্কোর পায় বাংলাদেশ। বৃষ্টিতে ছোট হয়ে আসা ম্যাচে নির্ধারিত ১৭ ওভারে ৩ উইকেটে ২০২ রান স্কোরবোর্ডে জমা করে টাইগাররা।

ইনিংসের প্রথম বলেই অধিনায়ক পল স্টার্লিংকে হারায় আয়ারল্যান্ড। তাসকিন আহমেদের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি। এরপর শুরু সাকিবের ঘূর্ণিজাদু। ম্যাচে নিজের প্রথম বলে লরকান টাকারকে (৬) শিকার করেন সাকিব।

নিজের কোটার পরের দুই ওভারে আরও দুটি করে উইকেট তুলে নিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো পাঁচ উইকেট পান বাংলাদেশ অধিনায়ক। এই মাইলফলকের সুবাদে কিউই পেসার টিম সাউদিকে ছাড়িয়ে আবারও টি-টোয়েন্টির শীর্ষ উইকেট সংগ্রাহক বনে গেছেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। মাত্র ৪৩ রানে ৬ উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। তবে শেষ দিকে ব্যবধান কমে কার্টিস ক্যাম্ফারের ৩০ বলে ৫০ এবং টেক্টর (২২) ও হিউমের (২০*) অবদানে।