গ্রামের সংবাদ ডেস্ক : জনগণকে একটি সুন্দর জীবন দেয়ার লক্ষ্য নিয়েই তিনি রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর লক্ষ্য ২০৪১ সাল নাগাদ জনগণের মাথাপিছু আয় ১২ হাজার মার্কিন ডলারে উন্নীত করা। তবে, দেশের এই অগ্রযাত্রায় তিনি যে কোন ষড়যন্ত্র মোকাবিলাতেও সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।

মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ এডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত নৈশভোজে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা জনগণের সেবক। এখানে ক্ষমতা উপভোগ করতে আসিনি। মানুষের জন্য কিছু করতে এসেছি। ২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত দেশকে আমরা মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করেছি।

জেলা প্রশাসকদের প্রশংসা করে সরকারপ্রধান বলেন, আপনারা অত্যন্ত সুন্দরভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আমলাতান্ত্রিক ভাব নিয়ে থাকা না, জনগণের সাথে মিশে যাওয়া, সে কাজটি আপনারা করতে পেরেছেন। শত বাধা এড়িয়ে এগিয়ে যাওয়ার কৃতিত্ব আপনাদের।

সরকারের সমালোচকদের প্রসঙ্গ টেনে ডিসিদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তবে এটাও মনে রাখবেন, যত বেশি দ্রুত সামনের দিকে এগোবেন তত বেশি চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। অনেকেই তো আছে আমাদের স্বাধীনতা আসুক সেটাই চায়নি। কাজেই আমাদের অগ্রযাত্রাটা অনেকের হয়তো পছন্দ হবে না, যারা আমাদের স্বাধীনতার সময় আমাদের সমর্থন দেয়নি বা মনে করতে পারে তাদের সঙ্গে টেক্কা দিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি কিন্তু আমরা তা পারি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা জনগণের সেবক। সেবক হিসেবে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করছি। এখানে আমরা কিছু নিতে আসিনি। এসেছি দিতে।

কেউ গৃহহীন থাকবে না জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা সরকারে আসার পর থেকে আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করি। বাংলাদেশের একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না। সেই লক্ষ্য অর্জনে অনেকটাই এগিয়ে গেছি।

সরকার দারিদ্রসীমা ২০ ভাগে নামিয়ে এনেছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, অনেক সংস্থাই একথা বলছে, বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে। প্রত্যেকটা জমি আবাদ করতে হবে।