নিজস্ব প্রতিবেদক : তবে কি ওবায়দুল কাদেরই? দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হিসেবে বঙ্গভবনে তাকেই দেখা যাবে? জল্পনা-কল্পনা যখন তুঙ্গে তখন সরকারের ও আওয়ামী লীগের নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র জানাচ্ছে, এমনটা হলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

আওয়ামী লীগে তৃতীয় বারের মতো সাধারণ সম্পাদক পদে থাকা ওবায়দুল কাদের সামলাচ্ছেন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ও। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের মেয়াদ শেষে ওবায়দুল কাদের ২২তম রাষ্ট্রপ্রধান হতে পারেন বলেই ধারনা ক্ষমতাসীন দলের নীতিনিধারণী পর্যায়ের কিছু নেতার।

পরবর্তী রাষ্ট্রপতি কে হচ্ছেন তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনার মধ্যে খোদ ওবায়দুল কাদেরও এ বিষয়ে কথা বলেছেন। সম্প্রতি সচিবালয়ে তিনি নিজেই বলেছেন, আওয়ামী লীগ থেকে অনেক পেয়েছেন। তাছাড়া রাষ্ট্রপতি পদে বসার যোগ্যতাও তার নেই।

ওবায়দুল কাদের এমন কথা বললেও, আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীই তাকে দলের জন্য পরীক্ষিত, সভাপতির আস্থাভাজন বলে মানেন। তারা প্রত্যাশাও করছেন, মাঠের রাজনীতিতে সক্রিয় থেকে সুনামের সঙ্গে দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব সামলে আসা ওবায়দুল কাদের শেষাবধি বঙ্গভবনের বাসিন্দা হবেন।

টানা দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের মেয়াদ আগামী ২৩ এপ্রিল শেষ হচ্ছে। প্রথম মেয়াদ শেষে ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল তিনি পুনরায় শপথ নিয়ে দেশের ২১তম রাষ্ট্রপতি হন।

টানা তৃতীয়বারের মতো রাষ্ট্রপতি হওয়ার সুযোগ না থাকায় রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে নতুন কেউ আসছেন। সেই হিসাবে ২৪ এপ্রিলের আগেই নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের কথা।

রাষ্ট্রপতির ৫ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ দিন থেকে ৬০ দিনের মধ্যে নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে সংবিধানে। বর্তমান রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।

এদিকে রাষ্ট্রপতি পদে কে আসছেন তা নিয়ে আলোচনার লাগাম ছুটছেই। আলোচনায় ঘুরেফিরে আসছে বেশ কয়েকটি নাম। তাদের মধ্যে আছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক, মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, দুদকের সাবেক কমিশনার শাহাবুদ্দিন চুপপু, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী (এ এইচ মাহমুদ আলী)।

সংসদীয় গণতন্ত্রে জাতীয় সংসদের সদস্যদের ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে যাকে রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী করবে, তিনিই সংসদ সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে যাবেন বঙ্গভবনে।

আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে যে কোনো সংকট তৈরি হলে সাহসিকতা, দক্ষতা ও বিশ্বস্ততার সঙ্গে যিনি সংকট থেকে উত্তরণে অবস্থান নিতে পারবেন, তেমন কেউই রাষ্ট্রপ্রধানের পদে বসবেন। এ সমস্ত কিছু বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতি পদে দলীয় প্রার্থীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।