গ্রামের সংবাদ ডেস্ক : বিএনপির পাঁচ সংসদ সদস্য সশরীরে জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। পাঁচ জনেরই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়েছে। এতে পাঁচ আসন এখন শূন্য হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্পিকার।

রবিবার (১১ ডিসেম্বর) বেলা সোয়া ১১টার দিকে জাতীয় সংসদ ভবনে স্পিকারের দফতরে যান বিএনপির সংসদ সদস্যরা। পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে তারা বেরিয়ে গেলে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান স্পিকার।

শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, আমার কাছে বিএনপির এমপি তাদের নিজ নিজ স্বাক্ষরযুক্ত পদত্যাগের আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন। পাঁচ জন সশরীরে ছিলেন। তাদের আবেদনপত্র গ্রহণ করা হয়েছে। আর বাকি দুজনের আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই করে তারপরে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আর যে পাঁচ জনের আবেদনপত্র গ্রহণ করা হয়েছে, সংবিধানের ৬৭(২) অনুযায়ী ওই আসনগুলো এখন শূন্য হয়ে গেছে।

বাকি দুই বিএনপির সংসদ সদস্যের মধ্যে আব্দুস সাত্তার অসুস্থ থাকায় এবং হারুনুর রশীদ দেশের বাইরে থাকায় অনুপস্থিত রয়েছেন। তাদের পদত্যাগের আবেদনপত্রের ব্যাপারে স্পিকার জানান, আব্দুস সাত্তার অসুস্থ থাকার কারণে সংসদ সচিবালয় তার স্বাক্ষর মিলিয়ে দেখবে ও এই বিষয়ে কথা বলবে। যদি সব ঠিক থাকে তাহলে তার আবেদনপত্রও গৃহীত হবে।

এছাড়া হারুনুর রশীদ দেশের বাইরে রয়েছেন। ই-মেইলের মাধ্যমে বিএনপির এই সংসদ সদস্যের পদত্যাগ আবেদনপত্র জমা দেয়া প্রসঙ্গে স্পিকার বলেন, হারুনুর রশিদের আবেদনপত্র গ্রহণ করা হবে না। তাকে পরে এসে আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।

শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, আসন শূন্য হওয়ার গেজেট প্রকাশ হলে তাদের কাছে পাঠানো হবে। একই সঙ্গে তা নির্বাচন কমিশনেও পাঠানো হবে। এছাড়া আসন শূন্য হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে উপনির্বাচন হবে বলেও জানান স্পিকার। বলেন, এখন আসন শূন্যের গেজেট হবে। যখন অধিবেশন বসবে সেখানেও জানানো হবে তা।

প্রসঙ্গত, ৩৫০ আসনের সংসদে বিএনপি থেকে নির্বাচিত সাত সংসদ সদস্য হলেন উকিল আব্দুস সাত্তার (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২), হারুনুর রশীদ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩), জি এম সিরাজ (বগুড়া-৭), আমিনুল ইসলাম (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২), জাহিদুর রহমান (ঠাকুরগাঁও-৩), মোশাররফ হোসেন (বগুড়া-৪) ও রুমিন ফারহানা (সংরক্ষিত নারী আসন)।