ডেস্ক রিপোর্ট : ডিসেম্বরের দ্বিতীয়ার্ধে দেশে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্য প্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া মাসটিতে বঙ্গোপসাগরে দুটি লঘুচাপ, যার মধ্যে একটি নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে এ তথ্য জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষজ্ঞ কমিটি।

এছাড়া ডিসেম্বরের শেষ নাদাত শৈত্যপ্রবাহের প্রকোপ থাকতে পারে বলে আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছেন। আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপপরিচালক কাওসার পারভিন জানান, চলতি মাসে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, যার মধ্যে একটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। তিনি বলেন, মাসটিতে সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাত হতে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা ক্রমশ কমতে পারে। তবে তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকতে পারে।

উপপরিচালক আরো জানিয়েছেন, ডিসেম্বরের দ্বিতীয়ার্ধে দেশের বিভিন্ন এলাকায় এক থেকে দুটি মৃদু (৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) অথবা মাঝারি (৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) ধরনের শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে। তিনি আরো জানান, চলতি মাসে দেশের নদী অববাহিকায় ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত মাঝারি থেকে ঘন এবং অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।এ ছাড়া প্রধান নদ-নদীগুলোতে স্বাভাবিক প্রবাহ বজায় থাকতে পারে।

চলতি মাসে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ক্রমে কমতে পারে। তবে ডিসেম্বরে দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকতে পারে বলেও জানান তিনি।অপরদিকে, নভেম্বর মাসের পর্যবেক্ষণে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছেন, মাসটিতে স্বাভাবিক অপেক্ষা কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। গত ৯ নভেম্বর দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি এবং ১৭ নভেম্বর দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়।গেল মাসে ১ নভেম্বর কক্সবাজারে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ২১ নভেম্বর তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। এ ছাড়া ২৯ নভেম্বরে টেকনাফে দৈনিক সর্বোচ্চ ২৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।