নিজস্ব প্রতিবেদক : বেসিক ব্যাংকের অর্থপাচারের মামলার এক শুনানিতে হাইকোর্ট বলেছেন, যারা বেসিক ব্যাংকের ৪ হাজার কোটি টাকা লুটপাট ও পাচার করেছে, তাদের ‘শ্যুট ডাউন’ করা উচিত। এটাই তাদের শাস্তি হওয়া উচিত।

মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

এদিন বেসিক ব্যাংকের অর্থপাচার মামলার আসামি রাজধানীর শান্তিনগর শাখার তৎকালীন ম্যানেজার মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর জামিন আবেদনের উপর শুনানি হয়।

আদালতে আসামিপক্ষের আইনজীবী আবুল হোসেন বলেন, ৫ বছর পার হয়ে গেলেও মামলাটির চার্জশিট দিচ্ছে না দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর ফলে বিচারও শেষ হচ্ছে না।

এসময় আদালত বলেন, অর্থপাচারকারীরা জাতির শত্রু। কেন এসব মামলার ট্রায়াল হবে না?

দুদকের উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে আদালত বলেন, কেনো চার্জশিট দিচ্ছেন না? অর্থ লুটপাট ও পাচারের মামলার ‘সামারি ট্রায়াল’ হওয়া উচিত। যারা জনগণের টাকা আত্মসাৎ করে তাদের ‘শুট ডাউন’ করা উচিত। এটাই তাদের শাস্তি হওয়া উচিত।

এদিন বেসিক ব্যাংকের চার হাজার কোটি পাচারের ঘটনায় দায়ের হওয়া সব মামলার সবশেষ তথ্য ২১ নভেম্বরের মধ্যে পেশ করতে নির্দেশ দেন আদালত। একইসঙ্গে তিন মামলায় মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর জামিন আবেদনও নাকচ করে দেন।

আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাড. খুরশিদ আলম খান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বেসিক ব্যাংকের শান্তিনগর শাখার তৎকালীন ম্যানেজার মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর বিরুদ্ধে ১৯টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ১৫টি মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন।