জাতীয় সংবাদ | তারিখঃ অক্টোবর ২৪, ২০২২ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 1628 বার
নিজস্ব প্রতিবেদক : ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ বাংলাদেশের উপকূলের ৫০০ কিলোমিটারের মধ্যে চলে এসেছে। ফলে বেড়েই চলেছে উপকূলীয় অঞ্চলের সতর্ক সংকেত। এরই মধ্যে ১৫ জেলায় ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে বলে সতর্ক সংকেত জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
সোমবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আট নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়।
এদিকে আগামীকাল মঙ্গলবার ভোরে এই ঘূর্ণিঝড় ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার বেগে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল পার হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান।
আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান বলেন, আমাদের হাতে এখনো ১৮ থেকে ২০ ঘণ্টা সময় আছে। উপকূল অতিক্রম করার সময় সিত্রাংয়ের গতিবেগ ১০০ কিলোমিটার বা তারও বেশি থাকতে পারে।
এদিকে আবহাওয়ার বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়টি আজ সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম বন্দরে থেকে ৫৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে খেপুপাড়ার কাছ দিয়ে বরিশাল ও চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে সাত নম্বর এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ছয় নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এছাড়া উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপে সাত নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপসমূহে ছয় নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, পাটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী ও ফেনী অঞ্চলের নদীবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর বিপদ সংকেত দেওয়া হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ, অমাবস্যা তিথি ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চাট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের কাছের দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পাঁচ থেকে আট ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
মাছ ধরার ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।