মোঃ বাদশা প্রামানিক নীলফামারী প্রতিনিধিঃ খালেদা জিয়ার ভাগ্নে সাবেক সাংসদ ও বিএনপি’র নীলফামারীর সাবেক জেলা সভাপতি, মাটি ও মানুষের নেতা ইঞ্জিনিয়ার সাহরিন ইসলাম তুহিন আসার প্রহর গুনছে এলাকাবাসী। নীলফামারী জেলার বিএনপি নেতা কর্মীসহ বিশেষ করে তার নির্বাচনী এলাকা (ডোমার-ডিমলা) নীলফামারী-১ আসনের সাধারণ মানুষ।

১৯৯৫ইং ও২০০১ইং সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে অল্প ভোটের ব্যবধানে হেরে যান। তারপরও তার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড থেমে থাকে নি।বিএনপি’র শাসনামলে খালেদা জিয়ার ভাগ্নে হওয়ার সুবাদে সংসদ সদস্য না হয়েও নীলফামারী জেলা তথা ডোমার-ডিমলার ব্যাপক উন্নয়ন করা তার জন্য সম্ভব ছিল। তিনি তা করেছিলেন।

তিনি নীলফামারী জেলার ডোমার-ডিমলার রাস্তাঘাট, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা এমপিওভুক্ত করণ, ভবন নির্মাণ, পাঁকা ও কাঁচা রাস্তা নির্মাণসহ বহু উন্নয়ন করেছিলেন। তিনি সংসদ সদস্য না হলেও তার সকল উন্নয়ন কাজ অব্যাহত রেখেছিলেন। ডিমলা থানার ছয়টি ইউনিয়ন (পশ্চিম সাঁতনাই, পূর্ব সাঁতনাই, খগা খড়িবাড়ি, গয়াবাড়ি, খাঁলিশা চাপানি, ঝুনাগাছ চাঁপান)সহ তিস্তা নদীর পাড়ে বাসকরা হাজার হাজার মানুষের ঘড়-বাড়ী, জায়গা-জমি, আবাদি ফসল, রাস্তাঘাট, মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির তিস্তার কড়াল গ্রাস থেকে রক্ষার্থে বাদ নির্মাণ, গড়েন নির্মাণ, ব্লক স্থাপনসহ নদী শাসনের জন্য বহুবিধ কাজ করেছেন। এই সব কাজের জন্য এলাকায় তার জনপ্রিয়তা তুঙ্গে।

এছাড়াও নীলফামারী জেলার অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিভিন্ন ভূমিকা পালন করেছিলেন। রাজনীতিক অঙ্গনে নীলফামারী জেলা এক সময় আওয়ামীলীগের শক্তিশালী দুর্গ হিসেবে পরিচিত ছিল।বিএনপি’র হাল ধরে তিনি এলাকায় এসে অক্লান্ত পরিশ্রম, সঠিক দিকনির্দেশনা ও সুদক্ষ নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের দুর্গ ভেঙ্গে বিএনপিকে দল হিসেবে জনপ্রিয়তার শীর্ষে নিয়ে আসেন।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের ১৭ বছরের দুঃশাসনে, তার এই জনপ্রিয়তাকে ধ্বংস করে, তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেশ ছাড়া হতে বাধ্য করে। ৫ই আগস্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর, দলের নেতাকর্মী সাধারণ জনগণ তার এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ তাকে মুক্ত করে দেশে আনার জন্য বিক্ষোভ সমাবেশ করে।

এ বিষয়ে ডোমার উপজেলা সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম কালু বলেন, বিএনপি মানেই তুহিন ভাই আর তুহিন ভাই মানেই সাধারন মানুষ। তুহিন ভাই এই এলাকার সাধারণ মানুষের সাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে বিএনপিকে সাধারণ মানুষের দল বানিয়ে ফেলেছিলেন। সাধারণ মানুষ মনে করেন, তিনি আমাদের পাশে থাকলে উন্নয়নের কমতি হবে না। ব্যাপক পরিবর্তন হবে ডোমার ও ডিমলার। শুধু ডোমার ও ডিমলার নয় পরিবর্তন হবে নীলফামার জেলার। ডোমার বাসী তার আসার অপেক্ষার রয়েছে।

এ বিষয়ে নীলফামারী জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সজল বলেন, শেখ হাসিনার সরকার বিএনপিকে এলাকা থেকে শেষ করার জন্য এমন কিছু নাই যা করেনি। কিন্তু, হাসিনা নিজেই নিঃশেষ হয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। নীলফামারী জেলার অভিভাবক ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম তুহিন ভাই। এখন আমরা সবাই তার আসার জন্য অপেক্ষা করছি। তার উপরেই নির্ভর করছে এই এলাকার রাজনীতি ও উন্নয়ন।

এ বিষয়ে ডিমলা উপজেলার বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম রাব্বানী প্রধান বলেন, তুহিন ভাই হল মাটি ও মানুষের প্রিয় নেতা। ডোমার-ডিমলা তথা নিলফামারী জেলার উন্নয়নের আশার আলো। তুহিন ভাই অল্প সময়ের মধ্যে যে উন্নয়ন করেছিল আওয়ামীলীগ সরকার ১৭ বছরেও তার ধারে কাছে যেতে পারেনি। আমরা তুহিন ভাইয়ের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জন্য ব্যাপক বিক্ষোভ সমাবেশ করছি। মাননীয় অন্তবর্তী কালীন সরকারের কাছে আবেদন জানাই, আমাদের মাটি ও মানুষের প্রাণপ্রিয় নেতার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে, দেশে আসার ব্যবস্থা করে দিতে।

নীলফামারীর ডোমার উপজেলার বিএনপি নেতা কর্মীরা বলছেন, হাসিনার সরকার বিএনপির নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে হাজার হাজার মিথ্যা মামলা প্রদান করেছেন। আমরা জেল খেটেছি, রাতের পর রাত ঘুমাতে পারিনি, পালিয়ে থেকেছি। তারপরেও বিএনপি আজ শক্তিশালী অবস্থানে।

এ বিষয়ে ডিমলা উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি দুর্দিনের কান্ডারী অধ্যক্ষ আলহাজ্ব রইছুল আলম চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতেই তুহিনের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। তার জনপ্রিয়তার ধস নামানোর জন্যই আওয়ামী লীগ সরকারের এ ষড়যন্ত্র। মিথ্যা মামলা নির্যাতনসহ নানা ষড়যন্ত্র করেও তার জনপ্রিয়তা ঠেকাতে পারেনি। বরং বেড়েছে কয়েক গুণ। তিনি আরো বলেন, আমি বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ মানুষের সাথে মথবিনিময় করে দেখেছি, তার শূন্যতার অভাব মানুষ বুঝতে পেরেছে। সবার মাঝে কেবল একটি প্রশ্ন, কবে আসবে তুহিন ভাই? নেতা কর্মীদের মুখে এককটি স্লোগান,””তুহিন ভাই বীরের বেশে, আসবে ফিরে বাংলাদেশে”।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহুরুল আলম বলেন, তুহিন ভাইয়ের নির্দেশনায় জেলা বিএনপির সকল কার্যক্রম পরিচালনা হচ্ছে। রাজনৈতিকভাবে বিএনপির শক্ত অবস্থান তৈরি হয়েছে। তার অবদানের কারণে সকল জুলুম ও অত্যাচার সহ্য করে, বিএনপি আজ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। আশা করি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সকল মামলার অবসান ঘটিয়ে, দেশে এসে আমাদের অভিভাবক হিসেবে দলটির হাল ধরবেন।

জেলা বিএনপির সভাপতি আ খ ম আলমগীর সরকার বলেন, শেখ হাসিনা তুহিন ভাইকে মিথ্যা মামলা দিয়ে দেশছাড়া করেছে। অথচ শেখ হাসিনাই আজ দেশ ছাড়া।তুহিন ভাই ছাড়া নীলফামারীর ভাগ্যের উন্নয়ন সম্ভব নয় । তুহিন ভাই অল্পদিনে যা করেছে এবং আওয়ামী লীগ সরকার ১৭ বছরে যা করেছে তা সবই জনগন দেখেছে। তাই আগামীতে উন্নয়নের কান্ডারী হিসেবে জনগণ তুহিন ভাইকে পাশে পেতে চায়। তুহিন ভাইয়ের মুক্তির জন্য এলাকায় ব্যাপক বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে আহবান জানাই, তুহিন ভাইয়ের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে তাকে নিঃস্বার্থ মুক্তি দিতে। তিনি দুই এলাকায় দুটি বিশাল জনসমাবেশে তার আকাঙ্ক্ষার কথা বলেছেন। তিনি দেশে ফিরে আসলে আমরা তার প্রতিফলন দেখব। এখন প্রবাসী ও বিএনপির লোকজন তার আসার অপেক্ষায় প্রহর গুনছে।