স্বপন বিশ্বাস, মাগুরাঃ মাগুরার বুকে যেন একখন্ড ভবদাহ। প্রভাব শালীদের অনিয়মের শত শত বেড়িবাধের কারণে জলাবদ্ধতায় দুই ইউনিয়নের ২০ গ্রামের কয়েক হাজার হেক্টর জমিতে ফসল উৎপাদন না হওয়ায় অন্তত এক লক্ষ মানুষের দুঃখের কারণ হয়ে দাড়িয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায় মাগুরা সদর উপজেলার বেরইল পলিতা ও গোপাল গ্রাম ইউনেয়নের অন্তত ২০ গ্রামের মানুষ মাঠে অপরিকল্পিত মাছের ঘের তৈরী ও সরকারি ভাবে গুচ্ছ গ্রাম তৈরীর কারনে পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। আর এ কারণে ফসল উৎপাদন না হওয়ায় মানুষের দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গ্রামগুলোর মধ্যে রয়েছে চেঙ্গারডাঙ্গী, বাহারবাগ, তাররা সংকোচখালি, নলনগর, গোপাল গ্রাম, সেনেরচর, ডহর সিংড়া, জোড়, মনিরামপুর, বামনডাঙ্গা, পলিতা, বিজয়খালী, জালিয়ার ভিটা সহ অন্তত ২০ গ্রাম। এ গ্রাম গুলোর মধ্যে অনেক গুলো বড় বিল রয়েছে।বিলের সাথে পানি নিস্কাষনের জন্য কয়েকটি সংযোগ খাল রয়েছে।মাত্র ২/৩ বছর আগেও এ সকল মাঠে ধান, পাট, সরিশা, মশুড়ি, পিয়াজ রসুন, সব্জিসহ বছরে ৩/৪ ফসল উৎপাদন হতো। অথচ বর্তমান বছর গুলোতে জল নিস্কাশন বন্ধ হওয়ায় সারা বছরই জলাবদ্ধতা থাকে। যে কারনে কোন ফসলই উৎপাদন হচ্ছে না।

ডহর সিংড়া গ্রামের কৃষক গোলাম রব্বানী বলেন, আমার অন্তত ১০ একর জমি জলাবদ্ধ আছে। মাত্র কয় বছর আগেও বছরে ৪০/৫০ মন সরিশা পেতাম।ধান পেতাম ৫০০ মনের উপরে।কিন্তু এখন কোন ফসল না পেয়ে কষ্টে আছি।চেঙ্গার ডাঙ্গা গ্রামের মন্টু বিশ্বাস বলেন সরকার যদি আমাদের মাঠের জলাবদ্ধতা নিরসনের ব্যবস্থা নিতো তাহলে বিলের চার পাশের অন্তত ২০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ এ দূরাবস্থা থেকে মুক্তিপেত।

মাগুরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত জাহার বলেন আমার কাছে সঠিক তথ্য পেলে ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করব।মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ডিডি ড.মোঃ ইয়াসিন আলী বলেন গ্রামবাসীকে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন,আমরা ব্যবস্থা নেব।

মাগুরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সরোয়ার জাহান সুজন বলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করলে, তিনি মোবাইল কোর্টর মাধ্যমে ব্যবস্থা নিতে পারবেন। পাশাপাশি আমাদের কাছে একটি দরখাস্ত দিতে বলেন আমরাও আইনি ব্যবস্থা নিব।