নিজস্ব প্রতিবেদক : দীর্ঘ ৯ বছর ভারতে বাধ্য হয়ে নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে দেশে ফিরেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। রোববার সোয়া ২টার দিকে দিল্লি থেকে ঢাকার বিমান বন্দরে এসে পৌঁছান তিনি। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন।

গত মঙ্গলবার গৌহাটিস্থ বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন থেকে ট্রাভেল পাস ইস্যু হয়েছে তার। ২০১৫ সালের ১০ মার্চ ঢাকা থেকে নিখোঁজ হন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন। তার ঠিক দু’মাস পর ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ে তাকে পাওয়া যায়। তখন ভারত সরকারের তরফে ঢাকাকে জানানো হয়, ‘উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘোরাফেরা’ অবস্থায় সালাউদ্দিনকে হেফাজতে নিয়েছে শিলং পুলিশ। পরবর্তীতে তার নামে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলা দায়ের করা হয়। আইনি প্রক্রিয়া চলাকালে সালাউদ্দিন জানান, গোয়েন্দা পরিচয়ে ২০১৫ সালের ১০ মার্চ তাকে রাজধানীর উত্তরাস্থ নিজ বাসা থেকে তুলে নেয়া হয়। একটি প্রাইভেটকারে তাকে অজানা গন্তব্যে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু গাড়িটি কোথা থেকে ছেড়েছিল বা গাড়িতে আর কে বা কারা ছিলেন, তা তিনি তখন বলতে পারেননি।

১৯৯৬ সালে কক্সবাজার থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সালাহউদ্দিন।

তিনি বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। মেঘালয়ে যখন আটক হন তখন তিনি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন। ভারতের জেলে থাকাকালে তিনি দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যের দায়িত্ব পান। ২০১৮ সালের ২৬ অক্টোবর অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলা থেকে তাকে পুরোপুরি খালাস দেন ভারতের আদালত। সেই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করেছিলো, কিন্তু শেষ পর্যন্ত আদালত সালাউদ্দিনের পক্ষেই রায় দেন। চূড়ান্ত বিচারে তাকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করা হয়।

সালাউদ্দিনের ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে, মামলা শেষ হওয়ার পর থেকে দেশে ফেরার জন্য ব্যাকুল থাকলেও রাজনৈতিক কারণে ফিরতে পারছিলেন না তিনি। অবশেষে ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত গণঅভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে পালিয়ে শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেয়ার প্রেক্ষিতে পাসপোর্টবিহীন সালাউদ্দিন ট্রাভেল পাস নিয়ে দেশে ফিরেছেন।