নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মাস্টার প্যানের অংশ হিসেবে মধ্যরাতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ডিবি প্রধানের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভ।

মঙ্গলবার গভীররাতে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, “এই অভিযানের আগে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে, গুলি ফোটানো হয়েছে। একটি বাহানা তৈরি করে এরপর দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দলের প্রধান কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়েছে। সেখান থেকে বিস্ফোরক লাঠিসোটাসহ নানা কিছু জনগনের সামনে তুলে ধরতে চায়।”
রিজভী বলেন, “ডিবি পুলিশের এটা করা মানে চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটা বার্তা দেওয়া যে তারা যেন ভয় পেয়ে যায়। আমি এর তীব্র নিন্দা ও ঘৃণা জানাচ্ছি।”

রুহুল কবির রিজভী বলেন, “বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় যখন শূন্য, নেতাকর্মীরা যখন ঘুমাচ্ছিল তখন মধ্যরাতে কেন এই অভিযান? কারণ শূন্য কার্যালয়ে যেকোনো চক্রান্ত আঁটা যায়। এর আগেও ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল যে পুলিশ বিস্ফোরক নিয়ে বিএনপির প্রধান কার্যালয়ে প্রবেশ করেছে।”

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ। পরে হারুনুর রশিদ বলেন, “অভিযানে শতাধিক ককটেল, ৫-৬ বোতল পেট্রোল, পাঁচশর বেশি লাঠিসোঁটা ও ৭টি দেশি-বিদেশি অস্ত্র পাওয়া গেছে।”

ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রওনকুল ইসলাম শ্রাবণসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন রিজভী।