সাঈদ ইবনে হানিফ | খুলনা বিভাগ, জেলার খবর, যশোর | তারিখঃ মার্চ ৯, ২০২২ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 2631 বার
সাঈদ ইবনে হানিফ ঃ যশোরের ভৈরব নদীতে মাছ ধরার হিড়িক পড়েছে। পাওয়া যাচ্ছে রুই,কাতলা, সিলভার, শরপুটি সহ নানান জাতের দেশি মাছ। গত কয়েক দিন যাবত এলাকার নারী পুরুষ শিশু কিশোর সহ কৌতুহলী মানুষের মধ্যে একপ্রকার উৎসবের আমেজে চলছে এই মাছ ধরার হিড়িক। খবর পেয়ে ৭-মার্চ (২০২২-ইং) ভোর বেলায় ভৈরব নদীর বাঘারপাড়া উপজেলার বাসুয়াড়ী ইউনিয়নের (ঘোষনগর) বাকে গিয়ে দেখা যায়, অসংখ্যা মানুষের ভীড়। আছেন নারী পুরুষ সহ শিশু কিশোর। তাদের কারও কাছে খেপলাজাল, চোবক,উচাজাল সহ মাছ ধরার দেশিও নানান সরঞ্জাম। শিশু কিশোর মহিলা সবার থলিতে মাছও আছে কমবেশি। মাছ ধরতে ব্যাস্ত অনেকেই আছেন, যারা বলেছেন, তারা কখনও নদীতে মাছ ধরেনি । কিন্তু অনেকে মাছ ধরছে দেখে শখের বসে আনন্দে মাছ ধরতে নেমেছি। খুব খুশি লাগছে নদী থেকে মাছ ধরতে পেরে। কিন্তু এলাকার সাধারণ মানুষের শখের বসে আনন্দে সুষ্ঠু পরিবেশে মাছ ধরার ক্ষেত্রে বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে স্থানীয় বাগডাঙ্গা গ্রামের জেলে সম্প্রদায়ের কিছু অসাধু ব্যাক্তি। ঘোষনগর গ্রামের শুকুর আলী, মাসুদ হোসেন, সাত্তার মোল্লা, আতিয়ার রহমান, ইয়াহিয়া মোল্লা, মিকাইল হোসেন সহ অনেকর অভিযোগ, এই জেলে সম্প্রদায়ের কিছু অসাধু লোক মাছ ধরে জিবিকা নির্বাহের নামে বিভিন্ন সময় অসাধু উপায়ে নেটপাটা জাল দিয়ে ঘিরে এবং কারেন্ট জাল দিয়ে ছোট বড় সব ধরনের মাছ ধরে নিচ্ছে । এবং সাধারন মানুষের কে শখের বসে শিপ বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে বাধা দিচ্ছে । সেই সাথে তারা নদীতে ডালপালা ফেলে বাঁধ সৃষ্টি করে নদীর পানি প্রবাহে বাধা দেওয়ার পাশাপাশি নদীর সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট করছে। শুধু তাই নয়, প্রায়ই তারা নদীর বিভিন্ন অংশে (গ্যাস ট্যাবলেট) দিয়ে মাছ ধরে নিচ্ছে যার ফলে ছোট ছোট মাছের রেনু সহ নদীতে থাকা (জীব) গুলো মারা যাচ্ছে। এবং নদীর পানি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এলাকাবাসি স্থানীয় জেলেদের এই অসাধু কর্মকাণ্ড বন্ধের জন্য উপজেলা মৎস কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।