মনিরামপুর প্রতিনিধি : যশোরের মনিরামপুর উপজেলার মনোহরপুর গ্রামে পূর্ণিমা দাস নামে এক গৃহবধু ধর্ষনের চেষ্টার বিচার না পেয়ে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। এঘটনায় পুলিশ স্হানীয় মেম্বারসহ দুইজনকে আটক করেছে। পূর্ণিমা দাস ওই গ্রামের সঞ্জীব দাসের স্ত্রী।
জানা যায়, গত ৫ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে পূর্ণিমা দাসকে একই গ্রামের কপিল ফকিরের ছেলে মিজানুর রহমান ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।এসময় পূর্নিমার চিৎকারে স্হানীয়রা এগিয়ে আসলে মিজানুর পালিয়ে যায়।
স্হানীয়রা জানায়, এ ঘটনায় পূর্ণিমা দাস ও তার স্বামী সঞ্জীব দাসকে আইনগত ব্যবস্থা না নেয়ার পাশাপাশি বিষয়টি গোপন রাখার জন্য স্থানীয় মেম্বার মোস্তফা গাজী ও সিরাজুল ইসলাম চাপ দেয় ও সামাজিকভাবে মীমাংসার কথা বলে।
এ ব্যাপারে গত ৬ মার্চ রাতে গোপনে মীমাংসা করলে পুর্নিমা ও তার পরিবারের বিচার পছন্দ না হওয়ায় ৭ মার্চ পূর্নিমা রাতে বিষপান পান করে পূর্নিমা আত্মহত্যা করে।
মনিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, ঘটনা জানতে পেরে থানার এস আই আতিকুজ্জান এলাকার ৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বার সিরাজুল ইসলাম ও আবুল হোসেন দপ্তরী নামে দুইজনকে আটক করেছেন।
প্রধান আাসামী মিজানুর রহমানসহ মেম্বার মোহাম্মদ মোস্তফা গাজী ও অন্যান্যরা পলাতক রয়েছে। পূণিমার মরদেহ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।