কক্সবাজার প্রতিনিধি : বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আন্তর্জাতিক মানের আইকনিক রেলস্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে পর্যটন শহর কক্সবাজারে। এই স্টেশনে রয়েছে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত সব ধরনের ব্যবস্থা। সচেতন মহল বলছে, শুধু রেল যোগাযোগের জন্য নয়, পর্যটনের নতুন অনুষঙ্গ হিসেবে বিবেচ্য হচ্ছে দেশের একমাত্র আইকনিক এই রেলস্টেশন।

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নান্দনিক আইকনিক রেলস্টেশন ও ১০২ কিলোমিটারের দোহাজারী-কক্সবাজার নবনির্মিত রেললাইনের উদ্বোধন করবেন আজ শনিবার (১১ নভেম্বর)। এর আগে, শুক্রবার (১০ নভেম্বর) দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি পরিদর্শন করেন রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন।

রেলমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশন থেকে শনিবার ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে পুরো বাংলাদেশের সঙ্গে কক্সবাজারের রেল যোগাযোগের শুরু হবে। কক্সবাজারে ট্রেনে করে আসার জন্য সারা দেশের মানুষ আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় রয়েছে। এই রেলপথ পর্যটন শিল্পে আমুল পরিবর্তন আনবে।

তিনি আরও বলেন, কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনের মতো অনন্য স্থাপনা অন্য কোথাও নেই। ঝিনুকের আদলে তৈরি স্টেশনটিতে আবাসিক হোটেলের পাশাপাশি ক্যান্টিন, লকার, গাড়ি পার্কিং ইত্যাদি ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। পর্যটকরা স্টেশনের লকারে লাগেজ রেখে সারাদিন সমুদ্রসৈকতে বা দর্শনীয় স্থানে ঘুরতে পারবেন। এই স্টেশন দিয়ে দিনে ৪৬ হাজার মানুষ আসা-যাওয়া করতে পারবে।

কক্সবাজার শহর থেকে তিন কিলোমিটার পূর্বে ঝিলংজা ইউনিয়নের হাজীপাড়া এলাকায় ২৯ একর জমির ওপর নির্মিত হয়েছে এই আইকনিক রেলস্টেশন। ঝিনুকের আদলে তৈরি দৃষ্টিনন্দন এই স্টেশন ভবনটির আয়তন এক লাখ ৮২ হাজার বর্গফুট। স্টেশন ভবনের পশ্চিম পাশে নির্মাণ করা হয়েছে পাঁচতলা বিশিষ্ট ২০টি ভবন।

১০২ কিলোমিটারের দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হচ্ছে আইকনিক এই রেলস্টেশন। ঢাকা থেকে রাতের ট্রেন ধরে সকালে কক্সবাজার নেমে পর্যটকেরা লাগেজ, মালামাল স্টেশনে রেখে সারা দিন সমুদ্রসৈকত বা দর্শনীয় স্থান ঘুরে রাতের ট্রেনে আবার ফিরতে পারবেন নিজ গন্তব্যে।