০৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

চাঁপাইনবাবগঞ্জে জমে উঠেছে পশুর হাট, ছোট গরুর চাহিদা বেশি

নিউজ ডেস্ক

নুরতাজ আলম : চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার কোরবানির পশুর হাটে বেচাকেনা জমে উঠতে শুরু করেছে। আজ থেকে পশুর হাটে কোরবানির পশু ও ক্রেতা-বিক্রেতার সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। বাজারে সব ধরনের গরু থাকলেও ছোট সাইজের গরুর চাহিদা তুলনামূলকভাবে বেশি। কারো কারো মতে দামও এবার কিছুটা বেশি।

গরুর হাট ঘুরে দেখা যায়, ছোট সাইজের গরু ৭০ থেকে ৯০ হাজার টাকা দাম হাঁকাচ্ছেন বিক্রেতারা। মাঝারি সাইজের গরু এক থেকে দেড় লাখ টাকা। আর বড় গরুর দাম চাওয়া হচ্ছে দুই থেকে চার লাখ টাকা।

জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকশা হাটে আব্দুর রাজ্জাক তিনটি গরু নিয়ে এসেছেন। বিকেল পাঁচটার দিকে তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার গরু তিনটির ১টির দাম দুই লাখ টাকা আর বাকি দুইটি একসাথে চার লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা হাঁকাচ্ছেন ক্রেতারা। কিন্তু ঐ দামে আমি বিক্রি করবো না। আরও বেশি দাম পাবেন বলে আশা করছেন তিনি। আব্দুর রাজ্জাকের দাবি, গত বছরের চেয়ে এবার গরুর দাম কিছুটা বেশি।

শিবগঞ্জ উপজেলার আবুল হাসনাত এন্টু অবশ্য উলটো কথা বললেন। তিনি বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার গরুর দাম কিছুটা কম মনে হচ্ছে।

শিবগঞ্জের জগন্নাথপুর এলাকার খামারি জিন্টু মিয়া বলেন, গো-খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় এবার লাভ কম হতে পারে। তবে আশা করছি গরু ভালো দামেই বিক্রি হবে।

জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. গোলাম মোস্তফা জানান, আসন্ন ঈদুল আজহায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় প্রায় ১ লাখ পঁয়ত্রিশ হাজারের বেশি কোরবানির পশুর চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে। গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়াসহ এবার প্রায় ২ লাখ ৬০০টি কোরবানির পশু প্রস্তুত করেছে জেলার খামারি ও গৃহস্থরা। এই জেলার ৫ উপজেলায় মোট চাহিদার চেয়ে প্রায় ৬৬ হাজার পশু বেশি রয়েছে। তিনি বলেন, তবে চাহিদার পরিমাণ কিছুটা কম-বেশি হতে পারে।

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ১১:২১:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
৩৬

চাঁপাইনবাবগঞ্জে জমে উঠেছে পশুর হাট, ছোট গরুর চাহিদা বেশি

আপডেট: ১১:২১:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

নুরতাজ আলম : চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার কোরবানির পশুর হাটে বেচাকেনা জমে উঠতে শুরু করেছে। আজ থেকে পশুর হাটে কোরবানির পশু ও ক্রেতা-বিক্রেতার সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। বাজারে সব ধরনের গরু থাকলেও ছোট সাইজের গরুর চাহিদা তুলনামূলকভাবে বেশি। কারো কারো মতে দামও এবার কিছুটা বেশি।

গরুর হাট ঘুরে দেখা যায়, ছোট সাইজের গরু ৭০ থেকে ৯০ হাজার টাকা দাম হাঁকাচ্ছেন বিক্রেতারা। মাঝারি সাইজের গরু এক থেকে দেড় লাখ টাকা। আর বড় গরুর দাম চাওয়া হচ্ছে দুই থেকে চার লাখ টাকা।

জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকশা হাটে আব্দুর রাজ্জাক তিনটি গরু নিয়ে এসেছেন। বিকেল পাঁচটার দিকে তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার গরু তিনটির ১টির দাম দুই লাখ টাকা আর বাকি দুইটি একসাথে চার লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা হাঁকাচ্ছেন ক্রেতারা। কিন্তু ঐ দামে আমি বিক্রি করবো না। আরও বেশি দাম পাবেন বলে আশা করছেন তিনি। আব্দুর রাজ্জাকের দাবি, গত বছরের চেয়ে এবার গরুর দাম কিছুটা বেশি।

শিবগঞ্জ উপজেলার আবুল হাসনাত এন্টু অবশ্য উলটো কথা বললেন। তিনি বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার গরুর দাম কিছুটা কম মনে হচ্ছে।

শিবগঞ্জের জগন্নাথপুর এলাকার খামারি জিন্টু মিয়া বলেন, গো-খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় এবার লাভ কম হতে পারে। তবে আশা করছি গরু ভালো দামেই বিক্রি হবে।

জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. গোলাম মোস্তফা জানান, আসন্ন ঈদুল আজহায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় প্রায় ১ লাখ পঁয়ত্রিশ হাজারের বেশি কোরবানির পশুর চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে। গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়াসহ এবার প্রায় ২ লাখ ৬০০টি কোরবানির পশু প্রস্তুত করেছে জেলার খামারি ও গৃহস্থরা। এই জেলার ৫ উপজেলায় মোট চাহিদার চেয়ে প্রায় ৬৬ হাজার পশু বেশি রয়েছে। তিনি বলেন, তবে চাহিদার পরিমাণ কিছুটা কম-বেশি হতে পারে।