কিশোরগঞ্জ, জেলার খবর, ঢাকা বিভাগ | তারিখঃ অক্টোবর ২৩, ২০২৩ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 4626 বার
নিজস্ব প্রতিবেদক : কিশোরগঞ্জের ভৈরবে যাত্রীবাহী যেই ট্রেনটিতে মালবাহী ট্রেন ধাক্কা দিয়েছে সেটিতে ছিলেন জীবন মিয়া ও তার পরিবারের পাঁচ সদস্য। যাদের মধ্যে দুই শিশুও আছে। ভয়াবহ এই ট্রেন দুর্ঘটনায় তারা সবাই আহত হলেও প্রাণে বেঁচেছেন। বর্তমানে তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) ভর্তি রয়েছেন।
আহতরা হলেন, আবুল কাশেম, তার স্ত্রী খাদিজা বেগম, তার ছেলে জীবন মিয়া, মেয়ে তন্নিমা, দুই ছেলে জিয়াদ ও সোয়াদ। এদের মধ্যে আবুল কাশেম ভাঙারি ব্যবসায়ী। আর খাদিজা গার্মেন্টস কর্মী।
সোমবার বিকালে ভৈরব বাজার রেলস্টেনের আউটারে এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছন শতাধিক মানুষ। এই আহতের মধ্যে ছিলেন জীবন মিয়া ও তার পরিবারের সদস্যরা। তাদেরকে চিকিৎসার জন্য সন্ধ্যায় সাড়ে সাতটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়।
আহত জীবন মিয়া জানান, তাদের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ সদর মাথিয়া গ্রামে। তার স্ত্রী খাদিজা নারায়ণগঞ্জ ভুলতা গাউছিয়া একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন সেখানেই থাকেন।
তার স্ত্রীর এক ভাই দেশের বাইরে থাকেন। সে দেশে এলে স্বপরিবারে পাঁচ দিন আগে নারায়ণগঞ্জ থেকে কিশোরগঞ্জ গিয়েছিলেন।
বলেন, আজ ভুলতা গাউছিয়া আসার উদ্দেশ্যে গ্রাম থেকে রওনা হোন সেখানে কচি হাটা রেলস্টেশন থেকে দুপুর দেড়টার দিকে এগারোসিন্ধুর গোধূলী ট্রেনে উঠি সবাই। বিকালের দিকে হঠাৎ একটা শব্দ হয়। বগি নড়ে ওঠে। ট্রেনের ভেতরে লোকজন ছিটকে পড়ে। আমরা আহত হই। আল্লাহর রহমতে প্রাণে বেঁচে গেছি। সরাসরি আমাদের বগিতে মালবাহী ট্রেনের ধাক্কা
লাগলে আজ পৃথিবীতে নাও থাকতে পারতাম।
ঢামেকের ক্যাজুয়ালিটি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক মো. আলাউদ্দিন বলেন, ট্রেন দুর্ঘটনায় একই পরিবারের দুই শিশুসহ ছয়জন আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেলে এসেছেন। তাদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা ভালো আছে। বাকি দুজনের শরীরে সামান্য জখম রয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে শিশু সোয়াদের বাম চোখে আঘাত রয়েছে তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসা চলছে।
এই চিকিৎসক বলেন, ট্রেন দুর্ঘটনার খবর শোনার পর থেকেই জরুরি বিভাগে অতিরিক্ত চিকিৎসক নার্স রাখা হয়েছে।