আজিজুল ইসলাম, বাগআঁচড়া (যশোর) সংবাদদাতা: যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়ার কৃতি সন্তান নাসা বিজ্ঞানী ড. মশিউর রহমান এলাকা তথা বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। বহু বছর ধরে তিনি আমেরিকায় ওয়ারলেস কমিউনিকেশন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছেন। ওয়ারলেস প্রযুক্তির উপর তিনি ব্যাপক গবেষণা করেছেন। ইতিমধ্যে ১০০ টিরও বেশী পেটেন্ট তৈরি করেছেন তিনি।

তিনি বিশ্বে বাঙ্গালী বিজ্ঞানীদের মধ্যে সর্বপ্রথম। যার ওয়ারলেস কমিউনিকেশন প্রযুক্তিতে ১০০টির মত পেটেন্ট তৈরী করেছেন আমেরিকায়।

ড. মশিউর রহমান ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ থেকে এইসএসসি পাশ করার পরে ১৯৭৫ সালে উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের জন্য ইউএস এসআর এবং ১৯৮২ সালে আমেরিকায় যান। সেখানে তিনি ইউএস এসআর থেকে রাডার সিস্টেম এর উপর প্রথম মাস্টার্স এবং আমেরিকা থেকে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড কম্পিউটার ইন্জিনিয়ারিং এ দ্বিতীয় মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন।পরবর্তীতে তিনি ওয়ারলেস টেকনোলজিতে আমেরিকা থেকে পিএইসডি ডিগ্রী অর্জন করেন। বিদেশের মাটিতে পড়াশোনা করে ও গবেষণায় মগ্ন থেকেও সফল এই বিজ্ঞানী তার জন্মভূমির কথা ভোলেননি এক বিন্দুও। তার শিক্ষার প্রতি ব্যাপক অনুরাগ।

তিনি এলাকায় মেয়েদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করার মানসে তার জন্মস্থান যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়ায় গড়ে তোলেন ডক্টর মশিউর রহমান মহিলা কলেজ। এছাড়াও তিনি বেশ কয়েকটি মাদ্রাসা ও মসজিদ নির্মান করেছেন। দুরদেশে থেকেও তিনি এলাকার অসহায় মানুষের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। অসাধারণ হয়েও তিনি সাদামাটা জীবন যাপনে অভ্যাস্ত। দেশে এসে মিশে যান সাধারণ মানুষের সাথে। শত ব্যাস্ততার মাঝেও তিনি তার প্রতিষ্ঠানটির দেখভাল করেন। খোজ খবর নেন। তার এই উদার মন-মানসিকতার জন্য এলাকায় খুবই জনপ্রিয়। তার এই সাফল্যে ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজসহ এলাকাবাসী গর্বিত।