স্টাফ রিপোর্টার : আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে এসএস ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামক প্রতিষ্ঠান। আর এই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে থাকা অনিয়মের ভূত তাড়াতে যশোরের সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন জানিয়েছেন ঝিকরগাছা রিপোর্টার্স ক্লাবের পক্ষে সভাপতি ও জাতীয় দৈনিক খবরের আলো পত্রিকার যশোর জেলা প্রতিনিধি মাস্টার আশরাফুজ্জামান বাবু।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঝিকরগাছার এসএস ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সরকারি বিধিমালা না মেনেই চিকিৎসা, প্যাথলজিকাল টেস্ট এবং সার্জারী অপারেশন করানো হচ্ছে। ঐ ক্লিনিকের পরিচালক নিজেকে ডাক্তার সোনিয়া আক্তার, ডি এইচ এম এইচ, ঢাকা পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছে। ইতিপূর্বে তিনি নিজে এক মহিলার সিজারিয়ান করাতে গিয়ে রুগী মেরে ফেলেছিলেন বলেও অভিযোগ আছে। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে আপনার দপ্তর হতে বিভিন্ন অভিযোগে তার ক্লিনিক সিলগালা করা হয়েছে। তবে প্রতিবারই তিনি বিভিন্ন কৌশলে ম্যানেজ প্রক্রিয়ায় আবারও ক্লিনিক চালু করেছেন। তার প্যাথলজিতে যিনি কাজ করেন তার নাম শুকুর আলী, পেশায় তিনি একজন টিভি মেকানিক। ঐ ক্লিনিকে কোনো ডাক্তার কিংবা ডিপ্লোমা নার্স নেই। অদক্ষ জনবল দিয়ে পরিচালিত এই ক্লিনিকে প্রতিনিয়ত মানুষের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলা হচ্ছে। সরকার নির্ধারিত রুগী প্রতি ৮০ বর্গফুট জায়গাও সেখানে নেই। এছাড়াও সরকারি হাসপাতালের আধা কিলোমিটার দুরে বেসরকারি ক্লিনিক স্থাপনের শর্ত থাকলেও এই ক্লিনিকটি একেবারে ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গেটের সামনেই অবস্থিত। ঐ ক্লিনিকের নির্ধারিত দালাল হাসপাতালে আগত রুগীদের ভুল বুঝিয়ে তাদের ক্লিনিকে নিয়ে যাচ্ছে। যার সত্যতা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার রশিদুল আলমের কাছ থেকে আপনি যাচাই করে নিতে পারবেন। সম্প্রতি ঐ ক্লিনিক সম্পর্কে আমি সংবাদকর্মী হিসাবে খোঁজ খবর নিতে গেলে পরিচালক সোনিয়া আক্তার আমার ও সাধারণ সম্পাদকের নামে ঝিকরগাছা থানায় চাঁদাবাজির অভিযোগা দিয়েছেন। এর আগেও তার ক্লিনিকের অনিয়ম সম্পর্কে প্রতিবাদ করায় স্থানীয় জনগন এবং সংবাদকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের হয়রানি করেছেন। আবেদনের সকল তথ্যের সত্যতা যাচাই করে উক্ত ক্লিনিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

ঝিকরগাছার এসএস ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরিচালক তার ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে তার ফ্রেন্ডদেরকে জানান দিয়েছেন, আমার ক্লিনিকের নামে যা ইচ্ছা লিখুক, কে কি করতে পারে সময় বলে দিবে।

জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস বলেন, একটা অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার বিষয়ে তদন্ত পূর্বক অতিদ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।