স্টাফ রিপোর্টার : যশোরের ঝিকরগাছায় শিমুলিয়া সরকারি বাওড়ে পাট পচাঁতে দেয়ায় ২ কৃষককে মারপিট করে পঁচাতে দেয়া ৭০ আটি পাট উঠিয়ে নিতে বাধ্য করা হয়েছে।

মারপিটের শিকার শিমুলিয়া ইউনিয়নের মাটিকোমরা গ্রামের শহীদ আলীর ছেলে বাওড়পাড়ের বাসিন্দা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানিয়েছেন, বাওড়ে কয়েক’শ কৃষক পাট পচাঁতে দিয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় তার চাচা আওলাদ হোসেন (৭৫) সোমবার (২১ আগষ্ট) বিকালে ৭০ আটি পাট বাওড়ে পচাঁতে দেন। বিষয়টি জানতে পেরে শিমুলিয়া শেখপাড়ার বাসিন্দা বাওড় ইজারাদার রেয়াজ উদ্দিনের ছেলে শাহিন হোসেন ও ইউসুফ আলীর ছেলে জয়নাল আবেদীন রাত ৮টার দিকে মাটিকোমরা গ্রামে আওলাদ হোসেনকে খুঁজতে যায়। আওলাদ হোসেন তখন ওই গ্রামের আব্দুল জলিলের চায়ের দোকানে বসে ছিলেন। এসময় বাওড় চাষি শাহিন ও জয়নাল সেখানে গিয়ে কেন বাওড়ে পাট পঁচাতে দিয়েছে জানতে চায়। তখন কৃষক আওলাদ হোসেন বলেন, অন্য কৃষকরা একই বাওড়ে পাট পঁচাতে দিয়েছে তাই তিনি দিয়েছেন। একথা বলার সাথে সাথে তোদের পরিবার বাওড়ে নামতে পারবেনা, তোরা বি এন পি করিস বলেই আওলাদ হোসেন ও তার ভাই শহীদ আলীকে এলোপাতাড়ী মারপিট করে। এছাড়া মঙ্গলবার সকাল ৮টার মধ্যে বাওড় থেকে পচাঁতে দেয়া সেই ৭০আটি পাট উঠিয়ে নিতে হবে বলে হুশিয়ারী দেয়। যা মঙ্গলবার সকালে উঠিয়ে নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শিমুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিয়ার রহমান সরদার বিষয়টি দুঃখজনক উল্লেখ করে বলেন, যেহেতু বাওড়ে অন্য কৃষকরা পাট পঁচাতে দিচ্ছে তাহলে কৃষক আওলাদ ও শহীদ আলীর অপরাধ কি? আর কি কারনে তাদেরকে মারপিট করে বাওড় থেকে পাট উঠিয়ে দিয়েছে সেটা আমার বোধগাম্য নয়। সেটা বাওড় ইজারাদারদের ব্যাপার বলেও জানান তিনি।

জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি অফিসার মাসুদ হোসেন পলাশ বলেন, সম্প্রতি উপজেলা পরিষদের মাসিক মিটিংয়ে ইজারা দেয়া সরকারি বিল বাওড়ে কৃষকদের পাট পঁচাতে (জাঁগ) দিতে দেওয়ার জন্য আলোচনা হয়েছে। কৃষককে মারপিট ও পাট উঠিয়ে দেয়ার বিষয়টি তিনি উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নিবেন বলেও জানান।