সাঈদ ইবনে হানিফ, বাঘারপাড়া ঃ দীর্ঘ দিন পরে হলেও নতুন করে বেঁচে থাকার জেগেছে যশোরের ভৈরব নদীর। প্রবাহমান এই নদীটি বৃহত্তর যশোর অঞ্চলের ইতিহাস ঐতিহ্যর ধারক বাহক। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে খরস্রোতা নদী টির চরাপড়তে থাকায় বিঘ্নিত হয় জোয়ার ভাটার। এরই মধ্যে সরকার নদীটি প্রবাহমান রাখতে খননকাজ হাতে নেয়।

ইতিমধ্যে খনন কাজ শেষ হওয়ায় নদীতে আবার আগের মত জোয়ার ভাটার প্রবাহমান হচ্ছে এবং নদীতে আসতে শুরু করেছে দেশীয় প্রজাতির নানা ধরনের মাছ। ঝাকে ঝাকে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে পুটি, রুই, কাতলা, টেংরা, বাইন, চিংড়ি সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। নদীর তীর বর্তী বাজার গুলোতে সকাল বিকাল এসব মাছ বিক্রি করেছেন স্থানীয় জেলেরা। ক্রেতাগন ও এসব মাচ ক্রয় করতে পেরে খুশি হচ্ছে।

বিশেষ করে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার বাসুয়াড়ী ইউনিয়নের ঘোষনগর ঘুনি বাজারে প্রতি দিন সকালে বিক্রি হয় ভৈরব নদী থেকে ধরা দেশি প্রজাতির নানা ধরনের মাছ।আর এই মাছ ক্রয়ের জন্য প্রতি দিন ভোর থেকে বিভিন্ন এলাকার মানুষের আনাগোনা দেখা যায়। এলাকার রাজবংশী জেলে সম্প্রদায়ের বেশির ভাগ পরিবার পার্শ্ববর্তী ভৈরব নদী থেকে মাছ ধরে এই বাজারে বিক্রি করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে থাকে।

এসব জেলেদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত কয়েক বছর ভৈরব নদীর খনন কাজের জন্য তাদের মাছ ধরা একপ্রকার বন্ধ ছিল। কিন্তু সম্প্রতি নদীর বাঁধ গুলো খুলে দেওয়ার কারণে নদীতে আবার জোয়ার ভাটা শুরু হওয়ার কারণে নদীতে ফিরে এসেছে প্রাণ। একই সাথে নদীতে জন্ম হয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। এই বাজারে মাছ কিনতে আসা একাধিক ব্যাক্তি জানান, নদীর মাছের স্বাদই আলাদা। তাছাড়া দেশি প্রজাতির মাছ এজন্য দাম একটু বেশি। তবুও নদীর মাছ কিনতে পারছি এতেই আমরা খুশি। মাছ বিক্রি করতে আসা জেলেরা বলেন, বিগত বছরগুলোতে নদীতে তেমন কোন মাছ ধরতে না পেরে তাদের সংসার খুব টানাপোড়েনের মাঝে কেটেছে। কিন্তু এখন নদীতে মোটামুটি মাছ ধরা পড়ায় তাদের সংসারে কিছুটা সচ্ছলতা ফিরে এসেছে।