আব্দুল্লাহ আল-মামুন : সংসদ সদস্য আলহাজ¦ শেখ আফিল উদ্দিন বলেছেন, ১৯৭১ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে পরাধীনতার শিকল ভেঙে মুক্ত করেছিলেন, স্থান পেয়েছিলেন সাধারণ মানুষের মনের মাঝে। ২০০৮ পরবর্তী আওয়ামীলীগের চলমান রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়নের বিজয় গাঁথা অসংখ্য অর্জণ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু কণ্যা আওয়ামীলীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। স্বাধীনতার মাত্র ৫০ বছরের মধ্যে আওয়ামীলীগ সরকার বাংলাদেশের সকল প্রান্তে যে উন্নয়ন এঁকেছেন তা দেশবাসীসহ বিশ^বাসীর কাছে উন্নয়নের মডেল হিসেবে চিরকাল বেঁচে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখন প্রয়োজন আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে উন্নয়নের সরকার আওয়ামীলীগকে টিকিয়ে রাখা। মনে রাখবেন, আওয়ামীলীগ সরকারে থাকলে দেশের মানুষ দুধে-ভাতে থাকবে।

রবিবার বিকেল ৪টার সময় শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া বাজারস্থ্য মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

বাঁগআঁচড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দিন গাজীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক, সাবেক চেয়ারম্যান ইলিয়াস কবির বকুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন আরও বলেন, এদেশে আমরা সকলে বিএনপি-জামায়াতসহ বিভিন্ন দলের শাসনামল দেখেছি। তারা কেউই জনগণকে আওয়ামীলীগের মতো করে ভাল বাসতে পারেনি। তারা এদেশের কোন উন্নতি করেনি। দেশের উৎপাদনে যা কিছু উপার্জন হয়েছে তা তারা নিজেরা ভাগাভাগি করেছে। জনগণকে তারা সুস্থ্যভাবে বাঁচতে দেয়নি, শাসন আর শোষনের মাধ্যমে নিজেদের ভাগ্য উন্নয়নে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাই, এখন আর এদেশের জনগণ আওয়ামীলীগ ছাড়া অন্যদলকে পছন্দ করেনা। তবে, ক্ষোভ আছে। এজন্য এখনই আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের নিজেদের ভূলগুলো শুধরে নিয়ে জনগণের কাতারে দাড়াতে হবে। নিজেদের সামান্য ভূলত্রুটির কথাগুলো শুনিয়ে ক্ষমা ও ভোট প্রার্থনা করতে হবে। সর্ব্বপরি আসন্ন জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষ্যে জনগণের ভোট নিতে এখনই আপনাকে শুধরাতে হবে।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক মঞ্জু, সহ সভাপতি ও যশোর জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সালেহ আহমেদ মিন্টু, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল, কোষাধ্যক্ষ ওয়াহিদুজ্জামান, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর হোসেন, যুবলীগের সভাপতি অহিদুজ্জামান অহিদ, সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুর রহিম সরদার সহ স্থানীয় আওয়ামীলীগের সকল সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।