খুলনা বিভাগ, জেলার খবর, ঝিনাইদহ | তারিখঃ মে ৩১, ২০২৩ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 2702 বার
আতিকুর রহমান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহের বিষয়খালী বাজারে রান সঞ্চয় ও ঋণ দান সমিতির মালিক রফিকুল ইসলাম ওরফে সুদখোর রফির নির্যাতন বন্ধ, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও দ্রæত গ্রেফতারের দাবীতে সড়ক অবরোধ করেছেন নির্যাতিত এলাকাবাসী।
বুধবার সকালে শত শত গ্রামবাসি ঝাড়– হাতে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিলসহ ঝিনাইদহ যশোর মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এ সময় প্রায় ৫ কিলোমিটার রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হয়। বিক্ষোভ মিছিল শেষে বিষয়খালী বাজারে মানববন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়। সেখানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খুরশিদ আলম, সাবেক চেয়ারম্যান আবু বক্কার, কানুহরপুর গ্রামের বিল্লাল হোসেন মেম্বর, বিষয়খালী গ্রামের শামিম হোসেন, কেশবপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম, বিষয়খালী গ্রামের নজির উদ্দীন, দবির উদ্দীন, যাত্রাপুর গ্রামে চম্পা খাতুন, কয়ারগাছি আবাসন এলাকার রেখা খাতুন ও আমজাদ হোসেন প্রমুখ। মানববন্ধন কর্মসুচি শেষে এক প্রতিবাদ সমাবেশে নির্যাতিতরা অভিযোগ করেন, সুদখোর রফি অল্প সুদে ঋণ দেওয়ার নাম করে চড়া সুদ আদায় করেন। টাকা না দিলে সন্ত্রাসী ও অস্ত্রধারী বাহিনী দিয়ে বাড়ি ঘরে হামলা করছে।
এছাড়া ঋন প্রদানের সময় ব্যাংকের ফাঁকা চেক ও ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্প নিয়ে রাখেন। ঋণ শোধের আগেই ঋনের ৬ গুন টাকা দাবী করে মামলা দিয়ে হয়রানী করছেন। সুদের টাকা দিতে দেরী হলেই গুন্ডাবাহিনীর অত্যাচার নেমে আসে পরিবারের উপর। রফিকুল ইসলাম ওরফে সুদখোর রফির অত্যাচারে মৃত্যুবরণকারী যাত্রাপুর গ্রামের আক্তারুজামানের মা বলেন, আমার ছেলে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে ১ লাখ ৮৪ হাজার টাকা শোধ করলেও টাকার জন্য রফি তার অফিসে ডেকে গুন্ডাবাহিনী দিয়ে মারধর করে। পরে অপমান সহ্য করতে না পেরে বিষপানে আত্যহত্যা করে। তাই ন্যায় বিচারের দাবীতে এই সড়ক অবরোধে আমিও শরীক হয়েছি। বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, সুদখোর রফির বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেও কোন কাজ হয়নি। বরং রফি তার ভাড়াটিয়া বাহিনী দিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ঋন গ্রহীতাদের খুন জখমের হুমকী দিচ্ছে।
সুদখোর রফি’র গ্রেফতার ও বিচার দাবীতে সড়ক অবরোধের বিষয়ে জানতে চাইলে মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খুরশিদ আলম জানান, বিষয়টি আমি অবহিত আছি। সুদখোর রফি’র গ্রেফতারের জন্য যা যা করা তাই করা হবে। প্রশাসন ও চেয়ারম্যানের আশ্বাস অবরোধকারীরা সড়ক ছেড়ে দেন।