এসএম স্বপন,বেনাপোলঃ গতকাল বৃহস্পতিবার কালবৈশাখী ঝড়ের তান্ডবে শার্শার আম ও ধান চাষিদের স্বপ্ন ভঙ্গের পাশাপাশি তাদের আম ও ধানের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে।

উপজেলার বিভিন্ন বাগানে-বাগানে মাটিতে পড়ে থাকা আমের দৃশ্য চোখে পড়ে। বাগানে আম গাছের ডাল ভেঙে পড়া সহ ফেটে নষ্ট হয়ে গেছে অধিকাংশ বাগানের আম।

স্বপ্ন ভঙ্গ আম চাষিরা বলেন, ঝড়ে আম বাগানের প্রায় ২০ থেকে ৩০ শতাংশ আম ঝরে পড়ে গেছে। তবে, কৃষি বিভাগ বলছেন, তারা এখনও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করতে পারেননি।

উপজেলার বাগআঁচড়া পাশ্ববর্তী কুলবাড়ীয়া গ্রামের আমচাষি রাজু বলেন, ৩০ বিঘা জমির ওপর আম বাগান রয়েছে তার। ঝড়ে বাগানের ২০ থেকে ৩০ শতাংশ আম মাটিতে পড়ে গেছে। বেশ কিছু গাছের ডাল ভেঙে পড়েছে। আম এখনও পরিপক্ক না হওয়ায়, ঝরে পড়া আম ৪ থেকে ৫ টাকা কেজির বেশি বিক্রি হবে না। আর যেসব আম ফেটে গেছে, সেসব আম কেউ কিনবে না।

বাগআঁচড়া, বেনাপোল, কায়বা, গোগা এলাকার কয়েকজন আম চাষী জানান, আম্ফান ঝড়সহ বিভিন্ন ঝড়ে গত কয়েক বছরে লোকসানের পরও এবার আমের ব্যাপক ফলন হয়েছিল। এতে করে তারা স্বপ্ন দেখছিল লাভের। কিন্তু বৃহস্পতিবারের ১০ মিনিটের কারবৈশাখীর ঝড়ে সে স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে।

একই সাথে, এ ঝড়ে আম চাষিদের পাশাপাশি ধান চাষিদেরও স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে। তাদের বোরো ধানেরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে ধানগাছ হেলে পড়া ও জমিতে পানি জমে যাওয়ায় ধান চিটা হয়ে যাওয়া সহ পঁচে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান কৃষকেরা। সেইসাথে ধানের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কাও করছেন তারা।

শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ মন্ডল বলেন, শার্শায় এবার ৯ হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। এবার বাগানে আম ভালো ধরেছিল। তবে কালবৈশাখী ঝড়ে আমের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে। তবে, ঝড়ে আমের কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনও নিরূপণ করা যায়নি এবং ধানেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানান প্রতাপ।