আব্দুল্লাহ আল-মামুন : সংসদ সদস্য আলহাজ শেখ আফিল উদ্দিন বলেছেন, দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির পথে বাধা সাম্প্রদায়িক অপশক্তির পৃষ্ঠপোষক বিএনপি। এদের প্রতিহত করতে হবে। শুক্রবার (১৭ মার্চ) শার্শার নাভারনে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক মঞ্জু’র সভাপতিত্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলেঅচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে এমপি শেখ আফিল উদ্দিন বলেন, সমস্ত অপশক্তিকে দমন করে প্রতিবন্ধকতা উপড়ে ফেলে জাতির পিতার সোনার বাংলা রচনার শপথের দিন আজ। এদিকে শার্শা উপজেলা পরিষদ চত্বরে সকালে এমপি শেখ আফিল উদ্দিনের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।

তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা শিশুদের ভালবাসতেন এবং শিশুদের জন্য তাঁর অত্যন্ত দরদ ছিল এবং শিশুদের সঙ্গে খেলা করতেও তিনি ভালবাসতেন। এজন্য তাঁর জন্মদিনকে আওয়ামীলীগ ‘জাতীয় শিশু দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছ। কারণ, শিশুরা আমাদের আগামী দিনের ভবিষ্যত এবং তারা যেন যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।

তিনি আরো বলেন, টুঙ্গিপাড়া জাতির পিতা শেখ মুজিবের জন্মস্থান। ঐ মাটিতে তিনি জন্ম নিয়েছেন, বড় হয়েছেন এবং ঐ মাটিতেই তিনি শায়িত। নিজের জীবনকে তিনি উৎসর্গ করেছিলেন বাংলার মানুষের মুক্তির জন্য। তাঁর ভেতর যে মানবিকতা ছিল, মানুষের প্রতি দরদ, শিশুকাল থেকেই সেটা দেখা গিয়েীছল। যখন স্কুলে পড়তেন তখন থেকেই দরিদ্র কোন শিক্ষার্থী যার বই নেই তাকে বই দিয়ে দিতেন। নিজের গায়ের কাপড় খুলে দরিদ্র মানুষকে বিলিয়ে দিতেন। এমনকি দুর্ভিক্ষের সময় নিজের গোলার ধান পর্যন্ত মানুষের মাঝে বিলিয়েছেন। তাঁর ভেতর সেই মানবিকতা ছোটবেলা থেকেই লক্ষ্য করা গেছে। যারা একেবারে শোষিত-বঞ্চিত ছিল, একবেলা খাবার পেতনা, কোন পুষ্টি ছিলনা, রোগে চিকিৎসা পেতনা জাতির পিতা বড় হয়ে তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করার জন্যই আজীবন সংগ্রাম করেছেন। জাতির পিতা ৩৬ হাজার ১৬৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারিকরণের মাধ্যমে দেশের প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ করেন। দুস্থ-অনাথ শিশুদের সুরক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষে জাতীয় শিশু আইন ১৯৭৪ প্রণয়ন করেন। তিনি এসব শিশুদের জন্য ‘কেয়ার অ্যান্ড প্রটেকশন সেন্টার’ প্রতিষ্ঠা করেন। যা বর্তমানে সরকারি শিশু পরিবার নামে পরিচিত।

অন্যান্যের মাঝে আরো বক্তব্য রাখেন, পৌর আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাজি এনামুল হক মুকুল, সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ আয়নাল হক, চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক, যুবলীগের সাভারন সম্পাদক সোহারাব হোসেন, আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ মোরাদ হোসেন, যুবলীগ নেতা মিলন, ইউপি সদস্য আবুল হোসেন প্রমুখ।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আলহাজ সালেহ আহমেদ মিন্টু, পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ নাসির উদ্দিন, আওয়ামীলীগ নেতা চেয়ারম্যান কবির উদ্দিন হেমেদ তোতা, সাবেক চেয়ারম্যান হাজি ইলিয়াছ কবির বকুল, হাসান ফিরোজ আহমেদ টিঙ্কু, যুবলীগ সভাপতি অহিদুজ্জামান অহিদ প্রমুখ।