সানজিদা আক্তার সান্তনা : অবশেষে যশোরের ইঞ্জিনিয়ার ইরফান ফারাজী হত্যা মামলার মুল পরিকল্পনাকারী আব্দুল কাদেরকে আটক করেছে পুলিশ। ২ জানুয়ারী সোমবার রাত সাড়ে নয় টায় রেলগেট এলাকা থেকে কাদেরকে আটক করা হয়। একই সাথে এ হত্যার মুল রহস্য উন্মোচন করেছে ডিবি পুলিশ। চাকরির প্রলোভন দেখিযে ইরফানের কাছ থেকে টাকা নেয় কাদের। ওই টাকা চাওয়ায় কাদেরের পরিকল্পনায় হত্যা করা হয় ইরফান ফারাজীকে। পুলিশ কাদেরকে আটকের পর ইরফানের কাছ থেকে কাদেরের নেয়া ৫০ হাজার টাকা, ১০০ টাকা মূল্যের একটি স্টাম্প এবং ইরফানের ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে। কাদের রেলগেট রায়পাড়া এলাকার মজিদের ছেলে। সে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চ যশোর পৌর শাখার সভাপতি হিসেবে পরিচয় দেন।

এর আগে এ হত্যাকান্ডে সরাসরি অংশ নেয়া তৌহিদুল নামের আরেক আসামিকে আটক করে র‌্যাব-৬ যশোরের একটি দল। পরে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হলে সে হত্যার নেপথ্যের কাহিনী জানায়। একই সাথে হত্যায় ব্যবহৃত চাকুও উদ্ধার করা হয়। রোববার বিকেলে আদালতে সোপর্দ করা হলে তৌহিদুল স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন। তার দেয়া তথ্য ধরে পুলিশ ও ডিবি কাদেরকে আটকে অভিযানে নামে।
ডিবির এসআই মফিজুল ইসলাম জানান, গোপন খবরের মাধ্যমে জানতে পারেন কাদের রেলগেট এলাকায় অবস্থান করছে। তাৎক্ষনিক পুলিশের টিম ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে কাদেরকে আটক করে। পরে কাদের এ হত্যার নেপথ্যের কাহিনী তুলে ধরে। তিনি আরও জানান, মুলত চাকরির কথা বলে তিন লাখ ২০ হাজার টাকা ইরফানের কাছ থেকে নেয় কাদের। কিন্তু চাকরি দিতে ব্যর্থ হয় কাদের। এক পর্যায় টাকা ফেরত না দিয়ে ঘুরাতে থাকে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় ইরফানের সাথে। এর জেরে ইরফানকে হত্যার পরিকল্পনা করে কাদের। ইরফানকে হত্যার জন্য পাখি, তৌহিদ, রাহুল ও শিশিরের সাথে ৫০ হাজার টাকায় চুক্তি করে কাদের। সেই চুক্তি অনুযায়ী ২২ ডিসেম্বর তারা চাকু নিয়ে কারবালা কবরস্থানের পাশে ফরাজি স্টোরে চিপস কেনার অযুহাতে যেয়ে ইরফানকে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

এ মামলায় তৌহিদুল ও কাদের আটক হলেও পলাতক রয়েছেন পাখি, শিশির ও রাহুল। পুলিশ ও র‌্যাব জানায় তাদের আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

উল্লেখ্য, এরফান ইসলামী যুব আন্দোলনের নেতা এবং যশোর পলেটেকনিক কলেজের ছাত্র ছিলেন।