জেলার খবর, পটুয়াখালী, বরিশাল বিভাগ | তারিখঃ ডিসেম্বর ২৪, ২০২২ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 5541 বার
কলাপাড়া (পটুয়াখালী)প্রতিনিধি : বইছে দখিনের মৃদু শীতল হাওলা। হালকা কুয়াশায় ঘেরা চারিদিক। এর মধ্যে পর্যটকরা সমুদ্রে সাঁতার কাটছেন, ঘুরছেন ঘোড়ায় চড়ে, সৈকতের সাউন্ড বক্স বাজিয়ে নাচেগানে মেতে উঠেছেন। আবার ফুটবল নিয়ে খেলা করছেন বালিয়ারীতে। সৈকতের বেঞ্চে বসে উপভোগ করছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।
বড়দিনসহ সাপ্তাহিক তিন দিনের সরকারি ছুটির দ্বিতীয় দিন শনিবার সাগরকন্য কুয়াকাটায় আগমন ঘটেছে হাজারো পর্যটকের।
এদিকে পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় পর্যটনস্পটগুলোতে মোতায়েন রয়েছে থানা পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ ও নৌ-পুলিশ।
সৈকত ঘুরে দেখা গেছে, কুয়াকাটার জিরো পয়েন্টের পশ্চিম প্রান্তের লেম্বুরচর এবং পূর্ব প্রান্তের গঙ্গামতি সৈকত পর্যন্ত পর্যটকদের পদচারণায় এখন মুখরিত। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকেই কুয়াকাটায় পর্যটকদের ব্যাপক চাপ রয়েছে।
এদিকে পর্যটকরা রুম বুকিং না দিয়ে কুয়াকাটায় এলে এক শ্রেণির অসাধু হোটেল ব্যবসায়ী অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর যারা অগ্রিম বুকিং দিয়ে আসেন, তাদের এই সমস্যায় পড়তে হয় না।
পর্যটকরা বলেন, এর আগে অনেক কষ্ট করে কুয়াকাটায় আসতে হতো। এখন মাত্র ৬ ঘণ্টায় কুয়াকাটা আসতে পেরে খুব ভালো লাগছে।
কুয়াকাটা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কুটুম’র সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আমির বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর সাপ্তাহিক ছুটিসহ সরকারি ছুটির দিনগুলোতে পর্যটকের আগমন বেশি হচ্ছে। তবে বড় দিনসহ সাপ্তাহিক ৩ দিনের ছুটিকে কেন্দ্র করে কুয়াকাটায় ঢল নেমেছে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোন পুলিশ পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ বলেন, আগত সকল পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয়েছে। দর্শনীয় স্থানগুলোতে সার্বক্ষণিক ট্যুরিস্ট পুলিশ নিয়োজিত রয়েছে।
মহিপর থানার ওসি খন্দকার আবুল খায়ের বলেন, তিন দিনের ছুটিতে পর্যটকের সেবায় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে।