খুলনা বিভাগ, জেলার খবর, যশোর | তারিখঃ ডিসেম্বর ২৪, ২০২২ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 5497 বার
সানজিদা আক্তার সান্তনা : যশোর শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি পরীক্ষার খাতা পুনঃনিরীক্ষার ফলাফলে অকৃতকার্য হওয়া ৪৩ পরীক্ষার্থী পাস করেছে। এদের মধ্যে থেকে ৭৩ জনের ফলাফল জিপিএ-৫ হয়েছে। শনিবার প্রকাশিত ফলাফলের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র। তিনি জানান, যেসব পরীক্ষক খাতা দেখায় ভুল করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গত ২৮ নভেম্বর যশোর শিক্ষা বোর্ড থেকে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। মূল ফলাফলে উল্লেখ করা হয়, পরীক্ষায় অংশ নেয়া ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫০১ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১ লাখ ৬১ হাজার ৩১৪। ফলাফল প্রকাশের পর খাতা পুনঃনিরীক্ষার আবেদনের সময় নির্ধারণ করে দেয়া হয় সাত দিন। এই সময়ের মধ্যে পাস করা ও অকৃতকার্য হওয়া পরীক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে ১২হাজার ৮১৭ জন পরীক্ষার্থী খাতা পুনঃনিরীক্ষার জন্য আবেদন করে। আবেদনের প্রেক্ষিতে যশোর শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ আবেদনকারীর খাতা( উত্তরপত্র) পুনরায় ভালোভাবে নিরীক্ষা করে। নিরীক্ষার পর যে ফলাফল প্রকাশ করা হয় তাতে অকৃতকার্য হওয়া ৪৩ পরীক্ষার্থী পাস করেছে। এদের মধ্য থেকে ৭৩ পরীক্ষার্থী পেয়েছে জিপিএ-৫। এছাড়া সি গ্রেড থেকে বি গ্রেড-১ জন, বি গ্রেড থেকে জিপিএ-৫ -১ জন, বি থেকে এ গ্রেড -১ জন, বি থেকে এ মাইনাস গ্রেড-২ জন, মাইনাস থেকে জিপিএ-৫ -৮ জন, এ মাইনাস থেকে এ গ্রেড ১১ জন ও এ গ্রেড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৬ জন। বোর্ডের ফলাফল শীটে উল্লেখ করা হয়েছে ১০০৫১৩ রোল নম্বরের পরীক্ষার্থীর উচ্চতর গণিতে মূল ফলাফলে পেয়েছিল অকৃতকার্য দেখানো হয়। পুনঃনিরীক্ষায় তার ফলাফল পরিবর্তণ হওয়ায় পেয়েছে জিপিএ-৫। ১০০২৩৪ রোল নম্বরের পরীক্ষার্থী গণিতে মূল ফলাফলে পেয়েছিল বি গ্রেড। পুনঃনিরীক্ষায় তার ফলাফল পরিবর্তন হয়ে পেয়েছে এ গ্রেড। একই বিষয়ে আরো তিন পরীক্ষার্থী খাতা পুনঃনিরীক্ষা করে পেয়েছে জিপ্্ির-৫। রসায়ন বিষয়ে মূল ফলাফলে ৫ শিক্ষার্থীর মধ্যে তিনজনকে অকৃতকার্য, ২জনকে এ গ্রেড দেখানো হয়। খাতা পুনঃনিরীক্ষা ফলাফলে এ বিষয়ে তিনজনকে অকৃতকার্য হওয়া তিন পরীক্ষার্থী এ মাইনাস ও দুই জন পেয়েছে জিপিএ-৫। বাংলা প্রথম পত্রে তিনজনকে এ গ্রেড ও ১জনকে এ মাইনাস দেখানো হয়। এই চার পরীক্ষার্থী পুনঃনিরীক্ষা পেয়েছে জিপিএ-৫। ইংরেজি প্রথম পত্রে মুল ফলাফলে চারজনের মধ্যে ২ জনকে ফেল ও দুইজনকে এ গ্রেড দেখানো হয়। পুনঃনিরীক্ষায় ফেল করা দুই পরীক্ষার্থী ডি ও সি গ্রেড পেয়ে পাস করেছে। এ গ্রেড পাওয়া দুই পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রে মুল ফলাফলে ১১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৭জন কে অকৃতকার্য দেখানো হয়। পুরঃনিরীক্ষা অকৃতকার্য হওয়া ৭ পরীক্ষার্থী পাস করেছে। ১ জন এ মাইনাস ও ১ জন এ গ্রেড পাওয়া পরীক্ষার্থী পেয়েছে জিপিএ-৫। উচ্চতর গণিতে ৫ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ফেল করা ১ পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫, বাকিরা অন্য গ্রেড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে। পদার্থ বিজ্ঞানে ৭জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৬জন জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ জন। জীব বিজ্ঞানে ৫ জনের মধ্যে একজন ফেল করা থেকে পাস ও চারজন বিভিন্ন গ্রেড থেকে পেয়েছে জিপিএ-৫। বাংলাদেশ ইতিহাস ও বিশ^ সভ্যতা বিষয়ে ফেল করা ৪ পরীক্ষার্থী পাস করেছে। ভুগোলে ফেল করা ৩ জন পাস করেছে। এছাড়া অন্যান্য বিষয়েও গ্রেড পরিবর্তন হয়েছে।
বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র বলেন, এসএসসির মূল ফলাফল প্রকাশের পর ১২ হাজার ৮১৭জন পরীক্ষার্থী আবেদন করে। তাদের পত্রগুলো ভাল ভাবে নিরীক্ষা করে তাদের প্রাপ্য ফলাফল দেয়া হয়েছে। তার যে সব পরীক্ষক খাতা দেখায় ভুল করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।