খুলনা বিভাগ, জেলার খবর, যশোর | তারিখঃ ডিসেম্বর ৬, ২০২২ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 2058 বার
আশরাফুজ্জামান বাবু, ঝিকরগাছা : যশোরের ঝিকরগাছার বাবরআলী সরদার বিশেষ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় চলাকালিন সময়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী কাউকেই দেখা যায় নি। প্রতিষ্ঠানের কোন প্রকার অনুষ্ঠান হলে সেই দিন শিক্ষার্থী বসানোর স্থান খুঁজে পাওয়া দায় হয়ে থাকে বলে এলাকায় একাধিক অভিযোগ উঠার বিষয়ে তথ্য অনুসন্ধানে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা গত ৩০ নভেম্বর বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার সময় ঝিকরগাছা উপজেলার পানিসারা ইউনিয়নের রঘুনাথনগরের অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাবরআলী সরদার বিশেষ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে বিদ্যালয়েরর বাস্তব চিত্র তুলে ধরেন। উক্ত দিন বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোছাঃ রেহেনা খাতুনের সাথে দেখা হলে তিনি বলেন, সরকারি ছুটির দিন বাদে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ৪৭০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে প্রতিষ্ঠান চলে। আমাদের সংরক্ষিত ছুটি চলছে। আজ (বুধবার) ও কাল (বৃহস্পতিবার) আমাদের বন্ধ। তবে সেই সময় তারা বিদ্যালয় বন্ধের কোন নোটিশ দেখাতে ও কর্মরত শিক্ষক ও অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের তালিকা চাওয়া হলে সেটাও দেখাতে পারেনি। পরবর্তীতে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শনিবার (০৩ ডিসেম্বর) একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বৃহস্পতিবার (০১ ডিসেম্বর) ৪শ ৭০জন শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে ক্লাস হওয়ার মিথ্যা প্রতিবেদন প্রচার করে। বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য ধরে রবিবার (০৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১টা ২০ মিনিটের সময় স্থানীয় সংবাদকর্মীরা বিদ্যালয়ে উপস্থিত হলে বিদ্যালয়ের মুল ফটক তালাবদ্ধ পাওয়া যায়। তাৎক্ষনিক ভাবে প্রধান শিক্ষক মোঃ মহিতুল রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সবদিন তো এক রকম চলবে না। আর এখন তো ডিসেম্বর মাস। বাচ্চাদের পরীক্ষারও বিষয় আছে। আজকে বাচ্চাদের পরীক্ষা ছিলো কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আজকে কোনো পরীক্ষা ছিলো না। তিনি আজ বিদ্যালয়ে এসেছিলেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আপনার সাথে পরে কথা বলি বলে ফোন রেখে দেন। সভাপতি মোঃ আব্দুল আলিম বলেন, আমি এখন ঢাকায় যাওয়ার জন্য রওনা দিয়েছি। বিদ্যালয় ছুটির সময় ২টার সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিবন্ধী বাচ্চাদের ২টা পর্যন্ত রাখা যায়? দেড়টার সময় গাড়ি চলে যায়। আমরা সব ৫/৭মিনিট আগে বেরিয়ে এসেছি।
এদিকে এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, সভাপতি আব্দুল আলিমের খেয়ালখুশি মত চলে এই স্কুল। শিক্ষকদের কোনো কতৃত্ব নেই। তিনি এখানে ইচ্ছে মত শিক্ষক নিয়োগ দেন আবার বাদ দেন। প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়টি স্বচ্ছতার সাথে পরিচালনা করার আহবান জানান তারা।