জাতীয় সংবাদ | তারিখঃ জুলাই ৩০, ২০২৪ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 4722 বার
গ্রামের সংবাদ ডেস্ক : বাংলাদেশে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। যেকোনো পরিস্থিতিতে পদক্ষেপ নিতে জাতিসংঘ প্রস্তুত বলেও জানান তিনি।
সোমবার মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজাররিক ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন।
মুখপাত্র জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলনে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ নিবিড়ভাবে নজর রাখছে। মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিশ্বাসযোগ্য তথপ্রমাণ পেয়েছেন। এর প্রেক্ষিতে তিনি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এছাড়া যেকোনো পরিস্থিতিতে পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত জাতিসংঘ।
ব্রিফিংয়ে মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজাররিক প্রথমে বাংলাদেশ ইস্যুতে একটি বিবৃতি পাঠ করেন। এরপর তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন।
বিবৃতিতে তিনি সব রকম সহিংসতার দ্রুত, স্বচ্ছ এবং পক্ষপাতিত্বহীন তদন্ত পুনর্ব্যক্ত করেন এবং এর জন্য যারা দায়ী তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ ইস্যুতে আপডেট আছে উল্লেখ করে ব্রিফিংয়ে ডুজাররিক সাংবাদিকদের বলেন, “বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তিনি নতুন করে ছাত্র আন্দোলন শুরু হওয়ার বিষয়ে অবহিত।”
ডুজারিক জানান, জাতিসংঘ মহাসচিব ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে হাজারো তরুণ এবং রাজনৈতিক বিরোধীদের গণগ্রেপ্তারের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার চর্চার ক্ষেত্রে যথাযথ প্রক্রিয়ার গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
এ সময় ডুজাররিক বলেন, “নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিশ্বাসযোগ্য তথ্যপ্রমাণ পাওয়ার পর মহাসচিব উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।”
ঢাকায় এবং নিউ ইয়র্কে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জাতিসংঘের উদ্বেগের বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হয়েছে বলেও ব্রিফিংয়ে উল্লেখ করেন মুখপাত্র।
তিনি আরও বলেন, “জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে সেনা পাঠানো শীর্ষস্থানীয় একটি দেশ হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি আমরা মানবাধিকার সমুন্নত রাখার আহ্বান জানাই।
উল্লেখ্য, দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সাম্পতিক সহিংসতায় ২০০ জনের বেশি প্রাণহানি ঘটেছে, সরকারি হিসাবে যা দেড়শ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রবিবার এ ঘটনায় ১৪৭ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিলেন। তারপর আরও তিনজনের মৃত্যুর কথা জানায়। সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫০।