সাইদুর জামান রাজা, শার্শা প্রতিনিধি : বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস সুপার মোখলেছুর রহমানের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন শার্শায় কর্মরত দৈনিক যায়যায়দিন ও বাংলাদেশ টুডের সাংবাদিক আশরাফুল ইসলাম।

শনিবার সকালে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের পর চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে ব্যাগেজ তল্লাশীর সময় সাংবাদিক আশরাফুল ইসলামের সাথে কাস্টমস সুপার মোখলেছুর রহমান বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করেন।

এক পর্যায়ে সাংবাদিক আশরাফুল ইসলামের পাসপোর্ট ও মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে কয়েক দফা ধাক্কা দিয়ে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করেন এবং অপ্রিতীকর ভাষা ব্যবহার করেন কাস্টমসের ওই কর্মকর্তা।

এসময় কাস্টমস সুপার মোখলেছুর রহমানের কাছে সাংবাদিক পরিচয় দিলে কোন সাংবাদিককে পরোয়া করেননা বলে বিভিন্ন বাজে মন্তব্য করেন তিনি।

সাংবাদিক আশরাফুল ভারতে টুরিষ্ট ভিসা’য় বেড়াতে যান গত ২দিন আগে। আজ ফেরার সময় ৫ বোন ও মায়ের জন্য ১২টি শাড়ি আনছিল। এ অপরাধে তাকে ঐ কাষ্টমস কর্মকর্তা সাংবাদিকের শাড়িগুলাে ছিনিয়ে নেন। এ ঘটনায় ঐ কর্মকর্তার সাথে বাগবিতন্ডা হওয়ার এক পর্যায়ে সাংবাদিককে তিনি শারিরিকভাবে লাঞ্চিত করেন।

এ ঘটনার পর সাংবাদিক আশরাফুল ইসলাম বেনাপোলে কর্মরত সিনিয়র সাংবাদিকদের সাথে ঘটনাটি জানালে কাস্টমস সুপার মোখলেছুর রহমানের সাথে বিষয়টি নিয়ে সমাধান করেন তারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পাসপোর্ট যাত্রী জানান, ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের পর কাস্টমস সুপার মোখলেছুর রহমান ব্যাগেজ তল্লাশির নামে সাধারণ যাত্রীদেরকে নানা রকম ভাবে হয়রানি করেন। কেউ কোন কথা বললে তার পাসপোর্ট ও মালামাল কেড়ে নিয়ে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করেন।

সাধারণ পাসপোর্ট যাত্রীরা বলেন, যদি সাংবাদিককে এভাবে লাঞ্ছিত ও হয়রানি করা হয় তাহলে অন্যান্যদের অবস্থা কতটুকু ভয়ানক হতে পারে। সাধারণ মানুষের কথা ভেবে এবং সকলের জীবন ও মালের নিরাপত্তার জন্য অনতি বিলম্বে বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস সুপার মোখলেছুর রহমানকে এখান থেকে বদলি করা হোক।

এ বিষয়ে বেনাপোল কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার শাফায়েত হোসেনের কাছে আনিত বিষয় নিয়ে জানতে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।