সারাদেশে বজ্রপাতে ১০ জনের মৃত্যু
নিজস্ব ডেস্কঃ সারাদেশে বজ্রপাতে প্রাণ হারিয়েছেন ১১ জন। সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন এলাকায় বজ্রপাতে এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে। যশোরের শার্শা উপজেলা, কুমিল্লার বরুড়া ও মুরাদনগর, কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও মিঠামইন, সুনামগঞ্জের শাল্লা এবং নেত্রকোনার কলমাকান্দা ও মদন উপজেলায় এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
যশোরের শার্শা উপজেলার বেড়ি নারায়নপুর গ্রামের আমির হোসেন (৪০),কূমিল্লায় বজ্রপাতে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। জেলার মুরাদনগর উপজেলায় ধান কাটার সময় বজ্রপাতে জুয়েল ভূঁইয়া (৩৫) ও নিখিল দেবনাথ (৬০) নামে দুই কৃষক নিহত হন। বরুড়া উপজেলার খোশবাস ইউনিয়নের পয়ালগুচ্ছ গ্রামে ঘুড়ি উড়ানোর সময় বজ্রপাতে মারা যায় বড় হরিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির দুই শিক্ষার্থী ফাহাদ হোসেন (১৩) ও সায়মন হোসেন। আহত আরও একজনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জের হাওর এলাকায় বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। অষ্টগ্রাম উপজেলার হাওরে ধান কাটার সময় ইন্দ্রজিত দাস (৩০) ও স্বাধীন মিয়া (১৪) মারা যান। একই দিনে মিঠামইন উপজেলার কেওয়ারজোড় ইউনিয়নের রানীগঞ্জ গ্রামে ধানের খলায় কাজ করার সময় বজ্রপাতে নিহত হন ফুলেছা বেগম (৬০)।
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার বুড়িজাঙ্গাল হাওরে বজ্রপাতে প্রাণ হারান রিমন তালুকদার (২০) নামের এক কলেজ শিক্ষার্থী। সকালে গরু চরাতে গিয়ে আকস্মিক বজ্রপাতের কবলে পড়ে তিনি মারা যান।
নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বজ্রপাতে দিদারুল হক নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষক মারা যান। তিনি হাফসা রা: আনহু মহিলা মাদ্রাসা ও আন নূর ইসলামী একাডেমির শিক্ষক ছিলেন। একই জেলার মদন উপজেলায় সোমবার ফজরের নামাজের পর মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে বজ্রপাতে মারা যায় ১০ বছরের শিশু আরাফাত, সে স্থানীয় হাফেজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র ছিল।
পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, নিহতদের মরদেহ আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পাশাপাশি নিহত পরিবারের সদস্যদের সরকারি সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন।