বিল্লাল হোসেন, ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি ।। ময়মনসিংহের ভালুকায় ঘুষের মাধ্যমে নিয়োগ ভুক্তভোগীরা, নিয়োগ বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছে।

তাদের দাবী মাদ্রাসার সুপার ঘুষের মাধ্যমে দুই আত্মীয়কে নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করছে। এতে অন্য প্রার্থীদের চাকুরী নিয়োগ পরীক্ষার প্রবেশ পত্র দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে ভুক্তভোগীরা। ১৮ আগষ্ট শুক্রবার সকালে উপজেলার সোয়াইল দাখিল মাদ্রাসা মাঠে এ মানববন্ধন করেন।

আবেদনকারী আনার হোসেনের মেয়ে মৌসুমি, আশাদুল আলমের স্ত্রী সালমা, ফরহাদ, তাইজুল ইসলাম, শামীম, খলিল, নুরুল ইসলামের ছেলে তরিকুল ইসলাম ও আসাদুল জানান, ওই মাদ্রাসার সুপার রাশেদুল ইসলাম প্রতিষ্ঠানের দুটি পদে চাকরী দেওয়ার কথা বলে তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নেয়।

ওই পদ গুলোতে নিয়োগ পরীক্ষার নির্ধারিত সময় থাকলেও তাদের প্রবেশ পত্র দেওয়া হয়নি বলে জানান তারা। ভুক্তভোগী মৌসুমি জানান, মাদ্রাসা সুপার তার কাছ থেকে আয়া পদে চাকুরী দেওয়ার জন্য তিন লাখ টাকা নেয়। পরে এ পদে আরো প্রার্থী হওয়ায় তার কাছে দুই লাখ টাকা দাবী করেন তিনি। বাকী টাকা না দেওয়ায় তাকে প্রবেশ পত্র দেওয়া হয়নি। তাছাড়া এ অভিযোগ শুধু মৌসুমির নয় বাকী সবাই একই অভিযোগ।

মৌসুমির অভিভাবক জানায়, আমরা গরীব মানুষ সুপার আমাদেরকে টাকা কথা বলার পর আমরা অনেক কষ্টে জোগাড় করে দিয়েছি। এখন আমার মেয়েকে পরিক্ষার প্রবেশ পত্র দেয়নি। উপায় না পেয়ে আমরা মানববন্ধন করতে আসছি। এমন অভিযোগ শুধু মৌসুমির নয় বাকী সবাই একই অভিযোগ।

এ বিষয়ে মাদ্রাসা সুপার রাশেদুল ইসলামের বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে। তা মিথ্যা আমি কোন টাকা নেইনি।

মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আজম খান জানান, তাদের কাছে মাদ্রাসার পিয়ন প্রবেশ পত্র নিয়ে গিয়েছিল তারা রাখেনি, আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য নয়।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হারুনুর রশিদ বলেন, আজকে নিয়োগ পরিক্ষার তারিখ ছিল আমরা মাদ্রাসায় গিয়েছি অভিযোগ পাওয়ার পর পরিক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।