১১:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫

শিশু আছিয়ার দাফন সম্পন্ন, অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন বিক্ষুব্ধ জনতার

নিউজ ডেস্ক

মাগুরা প্রতিনিধি : মাগুরায় ধর্ষণের শিকার হয়ে মৃত্যুবরণকারী আট বছরের শিশু আছিয়ার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার এশার নামাজের পর দ্বিতীয় জানাজা শেষে গ্রামের বাড়ি শ্রীপুরের সোনাইকুন্ডীতে তাকে দাফন করা হয়।

এদিকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত (শিশুটির বোনের শশুর বাড়ি) বাড়িতে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। রাত পৌনে ৮টার দিকে বাড়িটিতে আগুন দেওয়া হয়।

স্থানীয়রা জানায়, জানাজার নামাজ শেষ হওয়ার পরপরই আসামিদের বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দেয় লোকজন।

এরআগে আজ সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে মাগুরা স্টেডিয়ামে পৌঁছে আছিয়ার মরদেহ বহনকারী সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে স্থানীয় নোমানী ময়দানে শিশুটির প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে অংশ নেন অসংখ্য মানুষ।

তার আগে আজ দুপুর ১টায় ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় মাগুরায় ধর্ষণের শিকার আট বছর বয়সী শিশুটি।

হাসপাতালের শিশু বিভাগের শিশুরোগের চিকিৎসাসংক্রান্ত নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (পিআইসিইউ) চিকিৎসা চলছিল শিশুটির। গতকাল বুধবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় চারবার ও বৃহস্পতিবার আরও দু‘বার ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’ (আকস্মিকভাবে হৃৎস্পন্দন বন্ধ) হয় শিশুটির।

আট বছরের শিশুটি ৫ মার্চ মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে গভীর রাতে ধর্ষণের শিকার হয়। শিশুটিকে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে স্থানান্তর করা হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে তার অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি।

পরে বৃহস্পতিবার রাতে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার রাতে শিশুটিকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। অবস্থার আরও অবনতি হলে শনিবার (৮ মার্চ) বিকেলে শিশুটিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়।

এদিকে ধর্ষণের ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে চারজনের নামে মামলা করেন। ধর্ষণের অভিযোগে শিশুটির ভগ্নিপতি সজিব (১৮), সজীবের ভাই রাতুল (১৭), তাদের বাবা হিটু মিয়া (৪২) ও মা জাবেদা বেগমকে (৪০) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ১০:৪৮:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫
৩৭

শিশু আছিয়ার দাফন সম্পন্ন, অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন বিক্ষুব্ধ জনতার

আপডেট: ১০:৪৮:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

মাগুরা প্রতিনিধি : মাগুরায় ধর্ষণের শিকার হয়ে মৃত্যুবরণকারী আট বছরের শিশু আছিয়ার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার এশার নামাজের পর দ্বিতীয় জানাজা শেষে গ্রামের বাড়ি শ্রীপুরের সোনাইকুন্ডীতে তাকে দাফন করা হয়।

এদিকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত (শিশুটির বোনের শশুর বাড়ি) বাড়িতে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। রাত পৌনে ৮টার দিকে বাড়িটিতে আগুন দেওয়া হয়।

স্থানীয়রা জানায়, জানাজার নামাজ শেষ হওয়ার পরপরই আসামিদের বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দেয় লোকজন।

এরআগে আজ সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে মাগুরা স্টেডিয়ামে পৌঁছে আছিয়ার মরদেহ বহনকারী সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে স্থানীয় নোমানী ময়দানে শিশুটির প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে অংশ নেন অসংখ্য মানুষ।

তার আগে আজ দুপুর ১টায় ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় মাগুরায় ধর্ষণের শিকার আট বছর বয়সী শিশুটি।

হাসপাতালের শিশু বিভাগের শিশুরোগের চিকিৎসাসংক্রান্ত নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (পিআইসিইউ) চিকিৎসা চলছিল শিশুটির। গতকাল বুধবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় চারবার ও বৃহস্পতিবার আরও দু‘বার ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’ (আকস্মিকভাবে হৃৎস্পন্দন বন্ধ) হয় শিশুটির।

আট বছরের শিশুটি ৫ মার্চ মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে গভীর রাতে ধর্ষণের শিকার হয়। শিশুটিকে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে স্থানান্তর করা হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে তার অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি।

পরে বৃহস্পতিবার রাতে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার রাতে শিশুটিকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। অবস্থার আরও অবনতি হলে শনিবার (৮ মার্চ) বিকেলে শিশুটিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়।

এদিকে ধর্ষণের ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে চারজনের নামে মামলা করেন। ধর্ষণের অভিযোগে শিশুটির ভগ্নিপতি সজিব (১৮), সজীবের ভাই রাতুল (১৭), তাদের বাবা হিটু মিয়া (৪২) ও মা জাবেদা বেগমকে (৪০) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।