০২:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫

যশোরে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

নিউজ ডেস্ক

নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ০৯ মার্চ রোববার সকালে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কালেক্টরেট সভাকক্ষে আইন শৃংখলা কমিটির সভায় রোজায় বাজারে ব্যবসায়ীরা সয়াবিন তেল মজুদ রেখে সংকটের সৃষ্টি করছে।

এদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা জরুরী হয়ে পড়েছে। তিনজন করে মোটরসাইকেলে চলাচল বন্ধ ও বাজারে চুরি বন্ধের বিষয়ে পুলিশের পদক্ষেপের দাবী জানানো হয়।আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এই প্রস্তাব রাখা হয়।সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম বলেন পারিবারিক সহিংতায় খুন ও মারামারি আইন শৃঙ্খলার মধ্যে আনা যাবে না। এজন্য সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে হবে। আইনশৃংখলার সাথে নিজের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিজেকে করতে হবে। ঈদের সময় শার্শা, চৌগাছা সীমান্ত দিয়ে মাদকদ্রব্য না আসতে পারে। সেজন্য ওই সব স্পটগুলো বিচ্ছিন্ন করে দিলে অপরাধ ঘটবে না।এজন্য বিজিবি,র‌্যাব ও পুলিশ সদস্যদের সঠিক দায়িত্ব পালনের অুনরোধ করা হয়।

জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু রোজা ও ঈদকে সামনে রেখে বাজারের মধ্যে রিক্সা, ভ্যান ও মোটরসাইকেল চলাচল করার কারনে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।এতে করে ক্রেতাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ইয়াং ছেলেরা মোটরসাইকেলে করে বাজারের ভেতরে ঢুকে মেয়েদের উত্তাক্ত করছে। এজন্য বাজারে নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য পুলিশের টহলের ব্যবস্থা করতে হবে। সেই সাথে যানজট নিরাসনের জন্য বাজারের ভেতর রিক্সা ভ্যান ও মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ করতে হবে।মোটর সাইকেলে তিন জন উঠলে তাদের কে আইনের আওতায় আনতে হবে।

যশোর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাট্রিজের সাধারণ সম্পাদক তানভীরুল ইসলাম সোহান বলেণ, বাজারে চুরির সংখ্যা বেড়েছে। কাপুড়িয়াপট্টি, নতুন বাজার ও নিউমার্কেটে দোকানের সাটার খুলে চুরি হয়েছে। ব্যবসায়ীদের মাধে আতঙ্ক বিরাজ করছে। চুরি থেকে ব্যবসায়ীদের রক্ষা করতে রাতে পুলিশের টহল বাড়ানো উচিৎ। ব্যবসায়ীদের অনুরোধে ১০ রমজান পর্যন্ত রিক্সা, ভ্যান চলাচল করতে দেয়া হচ্ছে। ঢাকা থেকে সয়াবিন তেল কোম্পানী খোলা বাজারে বিক্রি করছে। আমাদের কিছু করার নেই।অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার বলেন, রোজার মধ্যে বাজারে যানজট নিরাসনে রিক্সা ও ইজিবাইক চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। ব্যবসায়ীদের মালামাল আনা নেয়ার স্বার্থে তাদের অনুরোধে আবার চালু করে দেয়া হয়। আবার বন্ধ করে দেয়া হবে। মোটরসাইকেলে তিনজন করে যুবক চলাচল বন্ধের বিষয়ে রাজনৈতিক কর্মীদের সতর্ক করে দেয়ার জন্য নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানান। এদের তিনজন করে মোটরসাইকেলে ঘোরার প্রবণতা থাকে। ঈদকে সামনে রেখে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। সকলের সহযোগিতায় অপরাধ দমন করা হবে।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন বলেন, যে ব্যক্তির রাজনৈতিক পরিচয় থাকুক না কেন, সে মাদক ব্যবসা বা অপরাধের সাথে জড়িত থাকলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। লোক সমাজ পত্রিকার প্রকাশক শান্তনু ইসলাম সুমিত বলেন, ভোক্তার বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া উচিৎ। ব্যবসায়ীরা গোডাউনে সয়াবিন তেল মজুদ রেখে সংকট সৃষ্টি করছে। লিটারের পরিবর্তে কেজিতে বিক্রি করছে। এতে করে ভেজাল দেয়ার সুযোগ আছে।

এবিষয়ে মোবাইল কোট পরিচালনা করা জরুরী। এসময় বক্তব্য রাখেন বিজিবির সহকারী পরিচালক সোহেল আল মুজাহিদ, মাদক দ্রব্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক আসলাম হোসেন, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী গোলাম রসুল, যশোর সরকারি মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মোফাজ্জেল হোসেন, অ্যাডভোকেট নাসিমা খাতুন প্রমুখ। এসময় বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। সভা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কমলেশ মজুমদার।

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ১২:১৩:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫
৩৬

যশোরে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

আপডেট: ১২:১৩:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ০৯ মার্চ রোববার সকালে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কালেক্টরেট সভাকক্ষে আইন শৃংখলা কমিটির সভায় রোজায় বাজারে ব্যবসায়ীরা সয়াবিন তেল মজুদ রেখে সংকটের সৃষ্টি করছে।

এদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা জরুরী হয়ে পড়েছে। তিনজন করে মোটরসাইকেলে চলাচল বন্ধ ও বাজারে চুরি বন্ধের বিষয়ে পুলিশের পদক্ষেপের দাবী জানানো হয়।আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এই প্রস্তাব রাখা হয়।সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম বলেন পারিবারিক সহিংতায় খুন ও মারামারি আইন শৃঙ্খলার মধ্যে আনা যাবে না। এজন্য সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে হবে। আইনশৃংখলার সাথে নিজের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিজেকে করতে হবে। ঈদের সময় শার্শা, চৌগাছা সীমান্ত দিয়ে মাদকদ্রব্য না আসতে পারে। সেজন্য ওই সব স্পটগুলো বিচ্ছিন্ন করে দিলে অপরাধ ঘটবে না।এজন্য বিজিবি,র‌্যাব ও পুলিশ সদস্যদের সঠিক দায়িত্ব পালনের অুনরোধ করা হয়।

জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু রোজা ও ঈদকে সামনে রেখে বাজারের মধ্যে রিক্সা, ভ্যান ও মোটরসাইকেল চলাচল করার কারনে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।এতে করে ক্রেতাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ইয়াং ছেলেরা মোটরসাইকেলে করে বাজারের ভেতরে ঢুকে মেয়েদের উত্তাক্ত করছে। এজন্য বাজারে নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য পুলিশের টহলের ব্যবস্থা করতে হবে। সেই সাথে যানজট নিরাসনের জন্য বাজারের ভেতর রিক্সা ভ্যান ও মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ করতে হবে।মোটর সাইকেলে তিন জন উঠলে তাদের কে আইনের আওতায় আনতে হবে।

যশোর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাট্রিজের সাধারণ সম্পাদক তানভীরুল ইসলাম সোহান বলেণ, বাজারে চুরির সংখ্যা বেড়েছে। কাপুড়িয়াপট্টি, নতুন বাজার ও নিউমার্কেটে দোকানের সাটার খুলে চুরি হয়েছে। ব্যবসায়ীদের মাধে আতঙ্ক বিরাজ করছে। চুরি থেকে ব্যবসায়ীদের রক্ষা করতে রাতে পুলিশের টহল বাড়ানো উচিৎ। ব্যবসায়ীদের অনুরোধে ১০ রমজান পর্যন্ত রিক্সা, ভ্যান চলাচল করতে দেয়া হচ্ছে। ঢাকা থেকে সয়াবিন তেল কোম্পানী খোলা বাজারে বিক্রি করছে। আমাদের কিছু করার নেই।অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার বলেন, রোজার মধ্যে বাজারে যানজট নিরাসনে রিক্সা ও ইজিবাইক চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। ব্যবসায়ীদের মালামাল আনা নেয়ার স্বার্থে তাদের অনুরোধে আবার চালু করে দেয়া হয়। আবার বন্ধ করে দেয়া হবে। মোটরসাইকেলে তিনজন করে যুবক চলাচল বন্ধের বিষয়ে রাজনৈতিক কর্মীদের সতর্ক করে দেয়ার জন্য নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানান। এদের তিনজন করে মোটরসাইকেলে ঘোরার প্রবণতা থাকে। ঈদকে সামনে রেখে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। সকলের সহযোগিতায় অপরাধ দমন করা হবে।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন বলেন, যে ব্যক্তির রাজনৈতিক পরিচয় থাকুক না কেন, সে মাদক ব্যবসা বা অপরাধের সাথে জড়িত থাকলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। লোক সমাজ পত্রিকার প্রকাশক শান্তনু ইসলাম সুমিত বলেন, ভোক্তার বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া উচিৎ। ব্যবসায়ীরা গোডাউনে সয়াবিন তেল মজুদ রেখে সংকট সৃষ্টি করছে। লিটারের পরিবর্তে কেজিতে বিক্রি করছে। এতে করে ভেজাল দেয়ার সুযোগ আছে।

এবিষয়ে মোবাইল কোট পরিচালনা করা জরুরী। এসময় বক্তব্য রাখেন বিজিবির সহকারী পরিচালক সোহেল আল মুজাহিদ, মাদক দ্রব্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক আসলাম হোসেন, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী গোলাম রসুল, যশোর সরকারি মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মোফাজ্জেল হোসেন, অ্যাডভোকেট নাসিমা খাতুন প্রমুখ। এসময় বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। সভা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কমলেশ মজুমদার।