০২:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫

ভিডিও কলে সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা জানালেন ‘আমি পালায়নি’

নিউজ ডেস্ক

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক, দৈনিক লোকসমাজ ও বাংলাটিভির প্রতিনিধি জিয়াউর রহমান জিয়া “সেচ্ছাসেবকলীগ নেতাকে ভারতে পাচার” সংক্রান্ত খবরের প্রতিবাদে এক সংবাদ সম্মেলন করেন।

রোববার দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত বক্তব্যে মহেশপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, আমি ফ্যাসিবাদ বিরোধী লড়াই করতে গিয়ে সাংবাদিক ও রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে নির্যাতনের শিকার হয়েছি। ১২টি মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করা হয়েছে।

পুলিশ গুমের উদ্দেশ্যে আমাকে আটক করেছিল। সে যাত্রায় আমি ঝিনাইদহের সিনিয়র সাংবাদিকদের একান্ত সহায়তা ও আল্লাহপাকের ইচ্ছায় প্রাণে রক্ষা পেয়েছিলাম।

সংবাদ সম্মেলনে দাবী করেন তিনি রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে মহেশপুরে কোন জুলুমবাজী, প্রতিহিংশা ও অনৈতিকতার সুযোগ গ্রহন করিনি। সচ্ছ ও জবাবদিহীতার রাজনীতি করা কারণে একটি মহল মিথ্যা অপপ্রচারে লিপ্ত। সেই দৃষ্টিকোন থেকে দৈনিক কালেরকন্ঠ ও দৈনিক কালবেলা পত্রিকার অনলাইন ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে “বিএনপি নেতার প্রটোকলে ভারতে পালিয়ে গেল স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা” ও “লীগ নেতাকে পালাতে সহযোগিতার অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে শিরোনামে মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত খবর প্রচার করা হয়। বিএনপি নেতা জিয়া দাবী করেন, সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা ও মাইটিভির জেলা প্রতিনিধি মিঠু মালিথার সঙ্গে তার কেবলই পেশাগত সম্পর্ক। এর বাইরে কিছু নেই। মিঠুকে ভারতে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করা হয়েছে মর্মে যে তথ্য প্রচার করা হয়েছে তা একেবারেই ডাহা মিথ্যা। একটি বিশেষ মহল ও ফ্যাসিবাদের দোসর সামাজিক, রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত ভাবে সম্মানহানী করার জন্য এই মিথ্যা অপপ্রচার করেছেন বলে জিয়া দাবী করেন।

এদিকে সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আনিছুর রহমান মিঠু মালিথা সংবাদ সম্মেলন চলাকালে এক ভিডিও বার্তায় বলেন, আমি কোথায় পালায় নি। আমি কালীগঞ্জ উপজেলার নরেন্দ্রপুর গ্রামের বাড়িতেই আছি। ভিডিও কলে তিনি বাড়িতে থাকার প্রমাণ দেন এবং ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতিসহ একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা বলেন তার পালিয়ে যাওয়ার খবরে বিস্ময় প্রকাশ করেন। আনিছুর রহমান মিঠু মালিথা বলেন, তিনি রাজনীতি করলেও প্রতিহিংসা বা হানাহানির রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়।

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ০৪:১৫:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫
২৫

ভিডিও কলে সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা জানালেন ‘আমি পালায়নি’

আপডেট: ০৪:১৫:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক, দৈনিক লোকসমাজ ও বাংলাটিভির প্রতিনিধি জিয়াউর রহমান জিয়া “সেচ্ছাসেবকলীগ নেতাকে ভারতে পাচার” সংক্রান্ত খবরের প্রতিবাদে এক সংবাদ সম্মেলন করেন।

রোববার দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত বক্তব্যে মহেশপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, আমি ফ্যাসিবাদ বিরোধী লড়াই করতে গিয়ে সাংবাদিক ও রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে নির্যাতনের শিকার হয়েছি। ১২টি মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করা হয়েছে।

পুলিশ গুমের উদ্দেশ্যে আমাকে আটক করেছিল। সে যাত্রায় আমি ঝিনাইদহের সিনিয়র সাংবাদিকদের একান্ত সহায়তা ও আল্লাহপাকের ইচ্ছায় প্রাণে রক্ষা পেয়েছিলাম।

সংবাদ সম্মেলনে দাবী করেন তিনি রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে মহেশপুরে কোন জুলুমবাজী, প্রতিহিংশা ও অনৈতিকতার সুযোগ গ্রহন করিনি। সচ্ছ ও জবাবদিহীতার রাজনীতি করা কারণে একটি মহল মিথ্যা অপপ্রচারে লিপ্ত। সেই দৃষ্টিকোন থেকে দৈনিক কালেরকন্ঠ ও দৈনিক কালবেলা পত্রিকার অনলাইন ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে “বিএনপি নেতার প্রটোকলে ভারতে পালিয়ে গেল স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা” ও “লীগ নেতাকে পালাতে সহযোগিতার অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে শিরোনামে মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত খবর প্রচার করা হয়। বিএনপি নেতা জিয়া দাবী করেন, সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা ও মাইটিভির জেলা প্রতিনিধি মিঠু মালিথার সঙ্গে তার কেবলই পেশাগত সম্পর্ক। এর বাইরে কিছু নেই। মিঠুকে ভারতে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করা হয়েছে মর্মে যে তথ্য প্রচার করা হয়েছে তা একেবারেই ডাহা মিথ্যা। একটি বিশেষ মহল ও ফ্যাসিবাদের দোসর সামাজিক, রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত ভাবে সম্মানহানী করার জন্য এই মিথ্যা অপপ্রচার করেছেন বলে জিয়া দাবী করেন।

এদিকে সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আনিছুর রহমান মিঠু মালিথা সংবাদ সম্মেলন চলাকালে এক ভিডিও বার্তায় বলেন, আমি কোথায় পালায় নি। আমি কালীগঞ্জ উপজেলার নরেন্দ্রপুর গ্রামের বাড়িতেই আছি। ভিডিও কলে তিনি বাড়িতে থাকার প্রমাণ দেন এবং ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতিসহ একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা বলেন তার পালিয়ে যাওয়ার খবরে বিস্ময় প্রকাশ করেন। আনিছুর রহমান মিঠু মালিথা বলেন, তিনি রাজনীতি করলেও প্রতিহিংসা বা হানাহানির রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়।