০৫:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

এভারেস্ট উচ্চতা হারিয়েছে ১৫০ মিটার

নিউজ ডেস্ক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায় তুষারপাতের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমছে । ২০২৪-২৫ সালে ভরা শীতেও প্রায় ১৫০ মিটার তুষারপাত কমে গিয়েছে। ফলে উচ্চতা কমেছে হিমালয়ের। ২০২৩ সাল থেকে অর্থাৎ ২০২৫ সাল পর্যন্ত দুই বছর মহাকাশচারী সংস্থা নাসার স্যাটেলাইট বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করেছে।

আমেরিকার নিকোলস কলেজের পরিবেশ বিজ্ঞানের অধ্যাপক, হিমবাহবিদ মাউরি পেল্টো জানিয়েছেন, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত কিছুটা তুষারপাতের পরিমাণ বাড়লেও তা একেবারেই উল্লেখযোগ্য বলা চলে না।

তিনি জানান, সাম্প্রতিক ২০২১, ২০২৩, ২০২৪ এবং ২০২৫ সালে শীত তেমন জেঁকে পড়েনি। সঙ্গে ছিল অস্বস্তিকর গরমও। সে কারণেই তুষারপাত কমে তুষাররেখা আরও আয়তনে বড় হচ্ছে।

এই হিমবাহবিদ আরও জানান, প্রতি বছর শীতের শুরুতে এই অঞ্চল ছোটবড় তুষারপাতের সাক্ষী থাকলেও তুষারের চাদর বেশিদিন স্থায়ী হয় না। যা থেকে পরিষ্কার মাউন্ট এভারেস্ট থেকে ৬ হাজার মিটারের ওপরে হিমবাহগুলো গলতে শুরু করেছে।

মাউন্ট এভারেস্ট স্থানীয়ভাবে সাগরমাথা বা কোমোলাংমা নামে পরিচিত। এটি সমুদ্রপৃষ্ঠের ওপরে পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বত। এটি হিমালয়ের মহালাঙ্গুর হিমাল উপ-রেঞ্জে অবস্থিত। চীন-নেপাল সীমান্ত তার সামিট পয়েন্টের মধ্য দিয়ে গেছে। এর উচ্চতা (তুষার উচ্চতা) ৮ হাজার ৮৪৮.৮৬ মিটার সম্প্রতি চীনা এবং নেপালি কর্তৃপক্ষ ২০২০ সালে রেকর্ড করেছে।

তথ্য অনুসারে, এভারেস্টে চড়ার জন্য দুটি প্রধান পথ রয়েছে, একটি রুট নেপালের দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে চূড়ার কাছে যায় (প্রমিত রুট হিসেবে বিবেচিত হয়) এবং অন্যটি উত্তরে তিব্বতে।

২০২৪ সালের ডিসেম্বরে নেপালের আবহাওয়ায় ২০-২৫ শতাংশ শুষ্ক আবহাওয়া ছিল। যার জেরে কোশি প্রদেশ-সহ একাধিক প্রান্তে খরা পরিস্থিতি তৈরি হয়। ২০২৩ সালের নভেম্বর মাস থেকে তুষারপাতের ছবি কিছুটা বদলালেও পুরো ছবির একেবারেই বদল হয়নি।

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ০৬:২০:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

এভারেস্ট উচ্চতা হারিয়েছে ১৫০ মিটার

আপডেট: ০৬:২০:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায় তুষারপাতের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমছে । ২০২৪-২৫ সালে ভরা শীতেও প্রায় ১৫০ মিটার তুষারপাত কমে গিয়েছে। ফলে উচ্চতা কমেছে হিমালয়ের। ২০২৩ সাল থেকে অর্থাৎ ২০২৫ সাল পর্যন্ত দুই বছর মহাকাশচারী সংস্থা নাসার স্যাটেলাইট বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করেছে।

আমেরিকার নিকোলস কলেজের পরিবেশ বিজ্ঞানের অধ্যাপক, হিমবাহবিদ মাউরি পেল্টো জানিয়েছেন, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত কিছুটা তুষারপাতের পরিমাণ বাড়লেও তা একেবারেই উল্লেখযোগ্য বলা চলে না।

তিনি জানান, সাম্প্রতিক ২০২১, ২০২৩, ২০২৪ এবং ২০২৫ সালে শীত তেমন জেঁকে পড়েনি। সঙ্গে ছিল অস্বস্তিকর গরমও। সে কারণেই তুষারপাত কমে তুষাররেখা আরও আয়তনে বড় হচ্ছে।

এই হিমবাহবিদ আরও জানান, প্রতি বছর শীতের শুরুতে এই অঞ্চল ছোটবড় তুষারপাতের সাক্ষী থাকলেও তুষারের চাদর বেশিদিন স্থায়ী হয় না। যা থেকে পরিষ্কার মাউন্ট এভারেস্ট থেকে ৬ হাজার মিটারের ওপরে হিমবাহগুলো গলতে শুরু করেছে।

মাউন্ট এভারেস্ট স্থানীয়ভাবে সাগরমাথা বা কোমোলাংমা নামে পরিচিত। এটি সমুদ্রপৃষ্ঠের ওপরে পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বত। এটি হিমালয়ের মহালাঙ্গুর হিমাল উপ-রেঞ্জে অবস্থিত। চীন-নেপাল সীমান্ত তার সামিট পয়েন্টের মধ্য দিয়ে গেছে। এর উচ্চতা (তুষার উচ্চতা) ৮ হাজার ৮৪৮.৮৬ মিটার সম্প্রতি চীনা এবং নেপালি কর্তৃপক্ষ ২০২০ সালে রেকর্ড করেছে।

তথ্য অনুসারে, এভারেস্টে চড়ার জন্য দুটি প্রধান পথ রয়েছে, একটি রুট নেপালের দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে চূড়ার কাছে যায় (প্রমিত রুট হিসেবে বিবেচিত হয়) এবং অন্যটি উত্তরে তিব্বতে।

২০২৪ সালের ডিসেম্বরে নেপালের আবহাওয়ায় ২০-২৫ শতাংশ শুষ্ক আবহাওয়া ছিল। যার জেরে কোশি প্রদেশ-সহ একাধিক প্রান্তে খরা পরিস্থিতি তৈরি হয়। ২০২৩ সালের নভেম্বর মাস থেকে তুষারপাতের ছবি কিছুটা বদলালেও পুরো ছবির একেবারেই বদল হয়নি।