১১:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫

মৌসুমের শেষ বাজারে দাম বেশি পেয়ে খুশি গদখালির ফুলচাষীরা

নিউজ ডেস্ক

স্টাফ রিপোর্টার : মৌসুমের শেষ উৎসবকে ঘিরে বেচাকেনা শেষ করেছেন দেশের ফুলের রাজধানীখ্যাত যশোরের গদখালীর ফুল চাষীরা। প্রতিবছর এ অঞ্চলের প্রায় সাড়ে ছয় হাজার ফুলচাষী বুদ্ধিজীবী দিবস, বিজয় দিবস, ইংরেজি নববর্ষ, বসন্ত উৎসব, ভালোবাসা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও স্বাধীনতা দিবসকে ঘিরে ফুল বেচাকেনা করে থাকেন। মুলত এই দিবসগুলোকে ঘিরেই সারা বছরের পরিচর্যা করা ও উৎপাদিত ফুল বিক্রির মৌসুম চলে।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২১শে ফেব্রুয়ারিকে ঘিরে আজ বৃহস্পতিবারের বাজারে (২০ ফেব্রুয়ারী) মৌসুমের শেষ বেচাকেনা করেছে গদখালীর ফুলচাষী ও পাইকারী ব্যবসায়ীরা।

গদখালির ফুলচাষীরা জানান, মাতৃভাষা দিবসকে ঘিরে গত তিন চার দিনে ফুলের উর্ধমুখী দাম পেয়েছেন তারা। দুই সপ্তাহ আগে যে গ্লাডিওলাস পানির দামে বিক্রি করছিলেন তা এখন ৮ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। প্রতিহাজার ৩০০ টাকা মূল্যের গাঁদা ফুল বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১৩০০ টাকা দামে, জিপসি ও কামিনি পাতা প্রতি মুঠো ২০ টাকা, জারবেরা ৭-৮ টাকা, চন্দ্রমল্লিকা ২-৩ টাকা। তবে দাম নিম্নমুখী থাকায় মুখে হাসি নেই গোলাপ চাষীদের মুখে। বৃহস্পতিবারের বাজারে প্রতি পিস গোলাপ বিক্রি হয়েছে ২ থেকে ৩টাকা। তবুও গোলাপ চাষীদের দাবি সারা বছরের তুলনায় লাভেই আছেন তারা।

পানিসারা গ্রামের ফুলচাষী ইব্রাহিম হোসেন বলেন, আমি আড়াই বিঘা জমিতে গাদা ফুলের চাষ করেছিলাম। গত তিনদিন ধরে ভালোই দাম পেয়েছি। গত সপ্তাহেও হাটভাঙা দাম ছিল গাদা ফুলের। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম। তবে আজকের বাজারে প্রত্যাশার তুলনায় বেশি দাম পেয়েছি।

গোলাপচাষী সোলাইমান বিশ্বাস বলেন, ‘দুই বিঘা জমির গোলাপ বাজারে নিয়ে গত ভালোবাসা দিবসকে ঘিরে ভালো দাম পেয়েছি। তবে ভালোবাসা দিবস পার হয়ে যাওয়ার পর গোলাপের দাম একেবারেই কমে গেছে। তবুও আগের বাজারগুলোর হিসাবে মোটামুটি লাভ হয়েছে।’

গদখালী ফুল চাষী ও‌ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারিকে ঘিরে আজকের বাজারে চাহিদামত দাম পেয়েছেন ফুল চাষীরা। গত তিনদিন ধরেই বাজার চড়া। আশানুরূপ দাম পাওয়ায় চাষীরা খুশি। তিনি আরো বলেন, আমাদের উৎসব কেন্দ্রিক ফুল ব্যববসার মৌসুম শেষ হচ্ছে। গত ডিসেম্বর থেকে অদ্যাবধি পুরো মৌসুমে অন্তত দেড়শ কোটি টাকার ফুল বিক্রি করেছন চাষীরা। তবে এটা গত মৌসুমের তুলনায় কম। তারপরও চাষীরা লাভেই থাকবেন বলে আশা করা যায়।

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ০৭:৫১:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
২৮

মৌসুমের শেষ বাজারে দাম বেশি পেয়ে খুশি গদখালির ফুলচাষীরা

আপডেট: ০৭:৫১:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার : মৌসুমের শেষ উৎসবকে ঘিরে বেচাকেনা শেষ করেছেন দেশের ফুলের রাজধানীখ্যাত যশোরের গদখালীর ফুল চাষীরা। প্রতিবছর এ অঞ্চলের প্রায় সাড়ে ছয় হাজার ফুলচাষী বুদ্ধিজীবী দিবস, বিজয় দিবস, ইংরেজি নববর্ষ, বসন্ত উৎসব, ভালোবাসা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও স্বাধীনতা দিবসকে ঘিরে ফুল বেচাকেনা করে থাকেন। মুলত এই দিবসগুলোকে ঘিরেই সারা বছরের পরিচর্যা করা ও উৎপাদিত ফুল বিক্রির মৌসুম চলে।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২১শে ফেব্রুয়ারিকে ঘিরে আজ বৃহস্পতিবারের বাজারে (২০ ফেব্রুয়ারী) মৌসুমের শেষ বেচাকেনা করেছে গদখালীর ফুলচাষী ও পাইকারী ব্যবসায়ীরা।

গদখালির ফুলচাষীরা জানান, মাতৃভাষা দিবসকে ঘিরে গত তিন চার দিনে ফুলের উর্ধমুখী দাম পেয়েছেন তারা। দুই সপ্তাহ আগে যে গ্লাডিওলাস পানির দামে বিক্রি করছিলেন তা এখন ৮ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। প্রতিহাজার ৩০০ টাকা মূল্যের গাঁদা ফুল বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১৩০০ টাকা দামে, জিপসি ও কামিনি পাতা প্রতি মুঠো ২০ টাকা, জারবেরা ৭-৮ টাকা, চন্দ্রমল্লিকা ২-৩ টাকা। তবে দাম নিম্নমুখী থাকায় মুখে হাসি নেই গোলাপ চাষীদের মুখে। বৃহস্পতিবারের বাজারে প্রতি পিস গোলাপ বিক্রি হয়েছে ২ থেকে ৩টাকা। তবুও গোলাপ চাষীদের দাবি সারা বছরের তুলনায় লাভেই আছেন তারা।

পানিসারা গ্রামের ফুলচাষী ইব্রাহিম হোসেন বলেন, আমি আড়াই বিঘা জমিতে গাদা ফুলের চাষ করেছিলাম। গত তিনদিন ধরে ভালোই দাম পেয়েছি। গত সপ্তাহেও হাটভাঙা দাম ছিল গাদা ফুলের। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম। তবে আজকের বাজারে প্রত্যাশার তুলনায় বেশি দাম পেয়েছি।

গোলাপচাষী সোলাইমান বিশ্বাস বলেন, ‘দুই বিঘা জমির গোলাপ বাজারে নিয়ে গত ভালোবাসা দিবসকে ঘিরে ভালো দাম পেয়েছি। তবে ভালোবাসা দিবস পার হয়ে যাওয়ার পর গোলাপের দাম একেবারেই কমে গেছে। তবুও আগের বাজারগুলোর হিসাবে মোটামুটি লাভ হয়েছে।’

গদখালী ফুল চাষী ও‌ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারিকে ঘিরে আজকের বাজারে চাহিদামত দাম পেয়েছেন ফুল চাষীরা। গত তিনদিন ধরেই বাজার চড়া। আশানুরূপ দাম পাওয়ায় চাষীরা খুশি। তিনি আরো বলেন, আমাদের উৎসব কেন্দ্রিক ফুল ব্যববসার মৌসুম শেষ হচ্ছে। গত ডিসেম্বর থেকে অদ্যাবধি পুরো মৌসুমে অন্তত দেড়শ কোটি টাকার ফুল বিক্রি করেছন চাষীরা। তবে এটা গত মৌসুমের তুলনায় কম। তারপরও চাষীরা লাভেই থাকবেন বলে আশা করা যায়।