১২:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

আকাশে মেঘের ঘনঘটা : ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কায় দ্রুত ধান কাটায় ব্যস্ত রাজগঞ্জের কৃষকেরা

নিউজ ডেস্ক

বিল্লাল হোসেন, রাজগঞ্জ : যশোরের মনিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ অঞ্চলে শুরু হয়েছে বোরো ধান কাটার উৎসব। আকাশে মেঘের ঘনঘটা, কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টির আশঙ্কায় দ্রুত ধান কেটে ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষীরা। কেউ মাঠে ধান কাটছেন, কেউ কেই ধান নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। এমন চোখ জুড়ানো দৃশ্য এখন রাজগঞ্জ অঞ্চলের মাঠে মাঠে। অন্যদিকে, কৃষকের বাড়ির উঠোনে চলছে ধান ঝাঁড়ার কাজ। দম ফেলার সময় নেই কৃষক-কৃষানীদের।

তবে, এবছর ধানের ভাল ফলন পেয়ে খুশি কৃষক। ঝড়-বৃষ্টির আগেই ধান কাটা শেষ করতে না পারলে ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কা করছেন তারা। রাজগঞ্জ অঞ্চলের বিস্তীর্ণ মাঠের বুক জুড়ে সোনালী ধানের সমারোহ দোলা দিচ্ছে কৃষকের মনে। কিন্তু আকাশের কালো মেঘ, যেকোনো সময় কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টির আশঙ্কা, চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে তাদের কপালে। এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত ধান কেটে বাড়ি নেয়া ও ঝেঁড়ে ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক-কৃষানীরা। দম ফেলার সময় নেই কারোর। অনেক স্থানে মাঠেই চলছে ধান মাড়াই। অনেক কৃষক ধান ঝাঁড়ার মেশিনের সাহায্যে ধান ঝেঁড়ে বস্তা ভরে ঘরে তুলছেন।

বুধবার সকালে রাজগঞ্জের হানুয়ার গ্রামে গিয়ে দেখা যায়- একদল শ্রমিক ধান কাটায় ব্যস্ত। আরেকদল সেই ধান বাঁধছেন। পাশের ক্ষেতের বেঁধে রাখা ধান মাথায় করে বাড়িতে নিচ্ছেন আরেক দল শ্রমিক। আবার অনেক কৃষক মাঠের মধ্যেই পলিথিন বিছায়ে ধান ঝেঁড়ে বস্তায় ভরছেন। হানুয়ার গ্রামের চাষী ডাঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন- কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টির হাত থেকে ধান রক্ষায় আগেভাগেই ধান কাটা শুরু করেছি। ধান মেশিনের সাহায্যে ঝেঁড়ে নিয়েছি। এতে সময় কম লেগেছে। আরেক কৃষক আব্দুল জব্বার বলেন- শুনতেছি ঝড় ও বৃষ্টি হতে পারে। প্রায় প্রতিদিন আকাশে মেঘের ঘনঘটা দেখা যাচ্ছে। কখন না জানি ঝড়, বৃষ্টিতে সব স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ধান কেটে ঘরে তুলতে চাচ্ছি।

হানুয়ার গ্রামের কয়েকজন কৃষক জানান- এবার ফলন খুব ভাল হয়েছে। বিঘায় ২০-২৫ মণ হারে ধান হয়েছে। বাজারে দামও মোটামুটি ভাল আছে। এবার ধান কাটায় শ্রমিক সংকট নেই, তবে শ্রমিকের মূল্য বেশি। ঝাঁপা ইউনিয়ন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ভগীরথ চন্দ্র ও আবু সাঈদ জানান- এবার লক্ষ্যমাত্রার বেশি জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। ফলনও বেশ ভাল। কিছুদিন হলো ধান কাটা শুরু হয়েছে। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে ঝড়, শিলাবৃষ্টির হাত থেকে রক্ষায় শতকরা আশি ভাগ ধান পাকলেই দ্রুত কেটে ঘরে তোলার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে কৃষকদের।

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ১০:২৩:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
২৩

আকাশে মেঘের ঘনঘটা : ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কায় দ্রুত ধান কাটায় ব্যস্ত রাজগঞ্জের কৃষকেরা

আপডেট: ১০:২৩:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

বিল্লাল হোসেন, রাজগঞ্জ : যশোরের মনিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ অঞ্চলে শুরু হয়েছে বোরো ধান কাটার উৎসব। আকাশে মেঘের ঘনঘটা, কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টির আশঙ্কায় দ্রুত ধান কেটে ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষীরা। কেউ মাঠে ধান কাটছেন, কেউ কেই ধান নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। এমন চোখ জুড়ানো দৃশ্য এখন রাজগঞ্জ অঞ্চলের মাঠে মাঠে। অন্যদিকে, কৃষকের বাড়ির উঠোনে চলছে ধান ঝাঁড়ার কাজ। দম ফেলার সময় নেই কৃষক-কৃষানীদের।

তবে, এবছর ধানের ভাল ফলন পেয়ে খুশি কৃষক। ঝড়-বৃষ্টির আগেই ধান কাটা শেষ করতে না পারলে ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কা করছেন তারা। রাজগঞ্জ অঞ্চলের বিস্তীর্ণ মাঠের বুক জুড়ে সোনালী ধানের সমারোহ দোলা দিচ্ছে কৃষকের মনে। কিন্তু আকাশের কালো মেঘ, যেকোনো সময় কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টির আশঙ্কা, চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে তাদের কপালে। এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত ধান কেটে বাড়ি নেয়া ও ঝেঁড়ে ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক-কৃষানীরা। দম ফেলার সময় নেই কারোর। অনেক স্থানে মাঠেই চলছে ধান মাড়াই। অনেক কৃষক ধান ঝাঁড়ার মেশিনের সাহায্যে ধান ঝেঁড়ে বস্তা ভরে ঘরে তুলছেন।

বুধবার সকালে রাজগঞ্জের হানুয়ার গ্রামে গিয়ে দেখা যায়- একদল শ্রমিক ধান কাটায় ব্যস্ত। আরেকদল সেই ধান বাঁধছেন। পাশের ক্ষেতের বেঁধে রাখা ধান মাথায় করে বাড়িতে নিচ্ছেন আরেক দল শ্রমিক। আবার অনেক কৃষক মাঠের মধ্যেই পলিথিন বিছায়ে ধান ঝেঁড়ে বস্তায় ভরছেন। হানুয়ার গ্রামের চাষী ডাঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন- কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টির হাত থেকে ধান রক্ষায় আগেভাগেই ধান কাটা শুরু করেছি। ধান মেশিনের সাহায্যে ঝেঁড়ে নিয়েছি। এতে সময় কম লেগেছে। আরেক কৃষক আব্দুল জব্বার বলেন- শুনতেছি ঝড় ও বৃষ্টি হতে পারে। প্রায় প্রতিদিন আকাশে মেঘের ঘনঘটা দেখা যাচ্ছে। কখন না জানি ঝড়, বৃষ্টিতে সব স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ধান কেটে ঘরে তুলতে চাচ্ছি।

হানুয়ার গ্রামের কয়েকজন কৃষক জানান- এবার ফলন খুব ভাল হয়েছে। বিঘায় ২০-২৫ মণ হারে ধান হয়েছে। বাজারে দামও মোটামুটি ভাল আছে। এবার ধান কাটায় শ্রমিক সংকট নেই, তবে শ্রমিকের মূল্য বেশি। ঝাঁপা ইউনিয়ন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ভগীরথ চন্দ্র ও আবু সাঈদ জানান- এবার লক্ষ্যমাত্রার বেশি জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। ফলনও বেশ ভাল। কিছুদিন হলো ধান কাটা শুরু হয়েছে। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে ঝড়, শিলাবৃষ্টির হাত থেকে রক্ষায় শতকরা আশি ভাগ ধান পাকলেই দ্রুত কেটে ঘরে তোলার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে কৃষকদের।