ডেস্ক রিপোর্ট : যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের প্রধান জেরোমি পাওয়েল সুদের হার বাড়ানোর ইঙ্গিত দেওয়ার পর বিশ্ববাজারে ডলারের দাম ২০ বছরের সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছে। সম্প্রতি বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদন অনুসারে, একগুচ্ছ বিদেশি মুদ্রার বিপরীতে ডলারের দামের ওঠানামার সূচক ইউএসডিএক্স আজ সোমবার (২৯ আগস্ট) দুই দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে উঠে ১০৯ দশমিক ৪৮ পয়েন্টে ঠেকেছে। ইউরো, জাপানি ইয়েন, কানাডীয় ডলার, ব্রিটিশ পাউন্ড, সুইডিশ ক্রোনা ও সুইস ফ্রাঁর সঙ্গে ডলারের তুলনা করে এই সূচক।

অন্যদিকে রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, এমন পরিস্থিতিতে আজ সোমবার (২৯ আগস্ট) ইউরোর দর এক শতাংশের এক চতুর্থাংশ কমে দশমিক ৯৯৪১৫ ডলারে নেমেছে, যা ২০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। অন্যদিকে ডলারের বিপরীতে পাউন্ড স্টার্লিংও আড়াই বছরের সর্বনিম্ন অবস্থানে এসেছে। এই ব্রিটিশ মুদ্রা বিক্রি হচ্ছে ১ দশমিক ১৬৪৯ ডলারে। ইয়েনের বিপরীতে ডলারের দর দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে। এক ডলার কিনতে খরচ হচ্ছে ১৩৮ দশমিক ৮১ ইয়েন। চীনের বাইরে ইউয়ানের ডলারপ্রতি দরপতন হয়েছে ৬ দশমিক ৯৩, যা গত ২ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।

তবে স্বস্তিতে নেই অন্যদেশ ও ডলারের বিপরীতে দরপতনের তালিকায় অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডের মুদ্রাও আছে। ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের প্রধান জেরোমি পাওয়েলের ইঙ্গিতে ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েনও ধাক্কা খেয়েছে। ভার্চুয়াল এই মুদ্রার দরপতন হয়েছে ৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতির হার ২ শতাংশের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে তিনগুণের বেশি বেড়েছে। এই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত সুদের হার বাড়তেই থাকবে বলে গত শুক্রবার ব্যাংকিং কনফারেন্সে ইঙ্গিত দেন পাওয়েল। কমনওয়েলথ ব্যাংক অব অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক অর্থনীতি ও মুদ্রা কৌশল বিভাগের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ক্যারল কং বলেন, ‘অন্যরা যা ভেবেছিল তা হয়নি। পাওয়েল বিষয়টি স্পষ্ট করে দিয়েছেন।’ চলতি সপ্তাহে ডলারের দাম আরও বাড়তে পারে বলে তিনি মনে করেন।