শিমুলিয়া প্রতিনিধি : বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পদ্মা সেতুর টোল প্লাজা ও ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজায় ঘরমুখো মানুষের চাপ বাড়তে থাকলেও বিকেলের পর তা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। শুক্রবার সকাল থেকেই পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তের টোল প্লাজায় প্রায় ৪ কিলোমিটার জুড়ে যানবাহনের সারি তৈরি হয়। তবে দুপুর গড়িয়ে বিকেল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যানবাহনের চাপ কমতে শুরু করে।
তবে যানবাহনের চাপ দেখা গেলেও তেমন কোন ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঘরমুখী মানুষকে।

পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবুল হোসেন জানান, সেতু দিয়ে যানবাহন পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে। তবে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ ও সনাতন পদ্ধতিতে টোল আদায়ের কারণে টোল প্লাজায় এসে যানবাহনগুলোকে কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে। এ কারণে টোল প্লাজা থেকে শ্রীনগরের কেউটচিড়া পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার জুড়ে যানবাহনগুলো ধীরগতিতে টোল প্লাজা অতিক্রম করেছে। তবে এখন চাপ কমেছে যানবাহনের।

আবুল হোসেন জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা সেতু দিয়ে ২২ হাজার ৭০৩টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর বেশিরভাগই মাওয়া প্রান্তের টোল প্লাজা দিয়ে দক্ষিণবঙ্গের দিকে গিয়েছে। মোট ৩ কোটি ১৬ লাখ ৫১ হাজার ৬৫০ টাকা টোল আদায় করা হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে ফেরি কুমিল্লা ৯৭টি মোটরসাইকেল ও ২টি সিএনজি চালিত অটোরিকশা নিয়ে পদ্মা পার হয়েছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মাহবুবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মাহবুবুর রহমান জানান, সকালে বেশ কিছু মোটরসাইকেল ঘাটে এসে উপস্থিত হয়। সেগুলো পারাপারের জন্য ফেরি কুমিল্লা চালু করা হয়েছে। লৌহজং চ্যানেলের বিকল্প নতুন চ্যানেল দিয়ে ফেরি চলেছে। এতদিন নাব্য সংকটে ফেরি চালানো যায়নি। যদি ঘাটে যানবাহনের যথেষ্ঠ উপস্থিতি থাকে তাহলে ফেরি স্বাভাবিকভাবে চলবে বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।

শিমুলিয়া ঘাটে শুক্রবার সকাল থেকে কিছু লঞ্চ ও স্পিডবোটকেও যাত্রী পারাপার করতে দেখা গেছে।

শিমুলিয়া ঘাটের ট্রাফিক পরিদর্শক মো. সোলেমান জানান, বেশ কয়েকটি লঞ্চে আজ যাত্রী পারাপার হয়েছে। আর ১৫-২০ মিনিট পরপর স্পিডবোট ঘাট ছেড়ে গেছে।