নিজস্ব প্রতিবেদক : নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে এখন থেকে প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত প্রথম ও দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা হবে না। এর বদলে শিক্ষার্থীদের ধারাবাহিক মূল্যায়ন করা হবে।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এতথ্য জানান প্রাথমিক ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।

তিনি বলেন, তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত প্রথম সাময়িক, দ্বিতীয় সাময়িক-এটি আর থাকবে না। মূল্যায়নের পদ্ধতি ভিন্ন হবে, যেহেতু ধারাবাহিক মূল্যায়ন। মূল্যায়ন হবে, কিন্তু আগের মতো গতানুগতিক না। ধারাবাহিক মূল্যায়ন থাকবে।

প্রথম ও দ্বিতীয় সাময়িক বা বার্ষিক পরীক্ষা হবে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, পরীক্ষা নেই বিষয়টি তেমন নয়। মূল্যায়ন পদ্ধতিটা ভিন্ন। এটা হলো ধারাবাহিক মূল্যায়ন। ধারাবাহিক মূল্যায়ন মানে একটা শিক্ষার্থীর সামগ্রিক আচরণ অবজার্ভ করে, এটি মূল্যায়নের মাধ্যমে মূল্যায়ন। কিন্তু তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত আমরা লিখিত পরীক্ষা, বইয়ের বোঝা থেকে আমরা তাদেরকে মুক্ত করেছি।

তিনি বলেন, এ মূল্যায়ন একটা অ্যাপের মাধ্যমে করা হবে। অ্যাপটি এরই মধ্যে তৈরি হয়েছে। এটা আমরা সহসাই পেয়ে যাব। মূল কথা হলো তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত প্রথম সাময়িক, দ্বিতীয় সাময়িক এটি আর থাকবে না। দ্রুত মূল্যায়নের জন্য এনসিটিবি অ্যাপ করছে।

সচিব জানান, জিরো টলারেন্স নীতিতে সব পরীক্ষা নেয়া হবে।

তিনি বলেন, বুয়েটের সহায়তায় ডিজিটাল ডিভাইস ট্র্যাকিং সিস্টেম সার্ভিস তৈরি করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পাঁচটি জেলায় এই ট্র্যাকিং সিস্টেমটি ব্যবহার করা হবে। এছাড়া, ২০২৪ সালে ১৩ হাজার ৭৮১ জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে বলে জানান তিনি।

আগামী তিন বছরের মধ্যে ঢাকা মহানগরীর ৩৪২টি সরকারি প্রাথমিক অবকাঠামো পরিবর্তন করে দৃষ্টিনন্দন করা হবে বলেও জানান তিনি।

গত বছর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। প্রথম বছর প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন এই শিক্ষাক্রম শুরু হয়। আর গত জানুয়ারি শুরু হওয়া নতুন শিক্ষাবর্ষে ওই তিন শ্রেণি ছাড়াও নতুন করে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে চালু হয়েছে এই শিক্ষাক্রম।

পর্যায়ক্রমে ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে (উচ্চমাধ্যমিক) বাস্তবায়িত হবে নতুন শিক্ষাক্রম। নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের বড় অংশ হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিকভাবে (শিখনকালীন)।