আতিকুর রহমান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহের মন্ডপে মন্ডপে চলছে সাজ সাজ রব। প্রতিমায় শেষ তুলির আঁচড়ে আকর্ষনীয় করতে ব্যাস্ত কারিগররা। আলোকসজ্জাসহ বাহারী সব আয়োজন দুর্গাপুজাকে ঘিরে।

আগামী ২০ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। ঝিনাইদহের পাড়া মহল্লাসহ প্রতিটা গ্রামে উৎসব ছড়িয়ে পড়েছে। দোকানে দোকানে ভীড়। চলছে কেনাকাটা।

ঝিনাইদহ জেলায় এবারে ৪৮৭টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ উপলক্ষ্যে চলছে প্রশাসনের কড়া নজরদারী। গড়ে তোলা হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয়। আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ঝিনাইদহ পূজা উদযাপন পরিষদ ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদসহ প্রতিটি পূজা কমিটির সাথে সম্প্রীতি সভা করেছেন।

জেলা প্রশাসনের দেয়া তথ্যমতে এবার ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় ১১৯, শৈলকুপায় ১৩৭, হরিণাকুন্ডুতে ৩৩, কালীগঞ্জে ৯৯, কোটচাঁদপুরে ৪৫ ও মহেশপুর উপজেলায় ৫৪টি মন্ডপে দুর্গোৎসব পালিত হবে। শহরের পাগলাকানাই ও হামদহ কালীমন্দিরে গিয়ে দেখা যায় শেষ মুহুর্তের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা কারিগররা। ঝিনাইদহ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিনয় কৃষ্ণ বিশ্বাস জানান, প্রতিমা তৈরীর কাজ প্রায় শেষের দিকে। এবারে জেলায় ৪৮৭টি মন্দিরে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। আশা করছি উৎসবমুখর পরিবেশে আমরা অনুষ্ঠান পালন করতে পারবো।

প্রস্তুতি নিয়ে পুলিশ সুপার মোঃ আজিম-উল-আহসান জানান, দুর্গাপূজা উদযাপনে শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে প্রতিটি পূজা মন্ডপে সিসি ক্যামেরা, মন্দিরভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন ও পুলিশী টহল জোরদার করা হয়েছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বৃহৎ ধর্মীয় এই উৎসবে কোন বিশেষ গোষ্ঠী বা মহল কর্তৃক ধর্মীয় সম্প্রীতিতে আঘাত করতে চাইলে কঠোর ভাবে দমন করা হবে।

দুর্গাপূজাকে ঘিরে ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে কেউ যাতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে সে বিষয়ে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে বলেও পুলিশ সুপার জানান। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসক এসএম রফিকুল ইসলাম জানান, ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রস্ততি গ্রহণ করা হয়েছে। সকলের মাঝে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় থাকবে এই আশা তিনি ব্যক্ত করেন।