স্টাফঃ রিপোটার : বেনাপোল পৌরসভার নির্বাচনে যাচাই বাছাই শেষে এক মেয়র প্রার্থীসহ ১২জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।গত সোমবার দুপুরে যশোর জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়ন যাচাই বাছাই শেষে তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার আনিচুর রহমান। এর আগে মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিন রোববার মেয়র পদে ৪ জনসহ মোট ৭৪ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। বেনাপোল পৌরসভা নির্বাচনে ২৫ জুন মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। ২৬ জুন প্রতীক বরাদ্দ ও ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১৭ জুলাই। ১৩ বছর পর এই নির্বাচনে বেনাপোল পৌরসভায় ৩০ হাজার ৩৮৫ জন ভোটার রয়েছে।

মেয়র পদে মনোনয়ন বাতিল হওয়া ফারুক হোসনে উজ্জল বলেন, ‘রিটার্নিং অফিসারের রায় মানি না। তিনি যে ঋণ খেলাপির অভিযোগ উঠেছে সেটা ভুল। আমি আদালতের দারস্থ হবো বলে জানান।

যশোর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় মতে, বেনাপোল পৌরসভা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেন মেয়র পদে ৪ জন। মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বেনাপোল পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, বেনাপোল সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান সজন, বেনাপোল পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য সাবেক চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান মিলন এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড ও মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হোসনে উজ্জল মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এছাড়া পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৫৩ জন ও সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলর পদে ১৭ প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। সোমবার মনোনয়ন যাচাই বাছাইয়ে মেয়র পদে ঋণখেলাপির জন্য ফারুক হোসেন উজ্জলের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া ঋণ খেলাপি, হলফনামাতে অমিল থাকা, হলফনামা যথাযথ না হওয়া এবং ফরম পূরণ পূর্ণাঙ্গ না হওয়াতে সাধারণ ওয়ার্ডের ৮ জন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের ৩ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে বেনাপোল ইউনিয়নের ১১টা গ্রামের অংশ নিয়ে বেনাপোল পৌরসভা গঠনের পর ২০১১ সালের ১৩ জানুয়ারি প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সেখানে আর কোনো নির্বাচন হয়নি। সেই নির্বাচনে বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম লিটন মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৫ সালের ১৩ জানুয়ারি ওই পরিষদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও আর নির্বাচন হয়নি। প্রথম শ্রেণির এ পৌরসভার নির্বাচন মামলার কারণে আটকে যায়। ২০২২ সালের ২৭ এপ্রিল স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আই ২০০৯ এর ধারা ৪২ এর সংশোধনক্রমে স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) আইন ২০২২ এর ধারা ৯ অনুযায়ী পৌর পরিষদ বিলুপ্ত ঘোষণা করে শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।