জাতীয় সংবাদ | তারিখঃ মার্চ ৯, ২০২৩ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 7787 বার
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর উত্তরায় দিনদুপুরে অস্ত্রের মুখে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের ডাকাতি হওয়া ১১ কোটি ২৫ লাখ টাকার মধ্যে প্রায় ৯ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ বলছে, পরিকল্পিতভাবে বাংকের গাড়ি থেকে টাকা লুটের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মানি প্ল্যান্ট লিংক সিকিউরিটিজ কোম্পানি লিমিটেডের দুজন পরিচালকসহ সাতজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তরার হোটেল লা মেরিডিয়ানের সামনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
এর আগে আজ সকাল সাড়ে সাতটার দিকে উত্তরা ১৬ নম্বর সেক্টরের ১১ নম্বর ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। গাড়িটি বুথে টাকা ঢোকাতে ঢাকা থেকে সাভার ইপিজেড যাচ্ছিল।
পুলিশ জানায়, সকাল ৭টার দিকে আড়াআড়ি করে মাইক্রোবাস দাঁড় করিয়ে উত্তরা ১৬ নম্বর সেক্টরের ১১ নম্বর ব্রিজ–সংলগ্ন ডাচ্–বাংলা ব্যাংকের টাকা বহন করা গাড়িটির গতি রোধ করে। মাইক্রোবাস থেকে ১০–১২ জন ডাকাত নেমে টাকা বহন করা গাড়ির দরজা ভেঙে সবাইকে জিম্মি করে সোয়া ১১ কোটি টাকা ভর্তি ট্রাংক ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।
হারুন অর রশীদ বলেন, টাকা নিয়ে যাওয়া গাড়িতে ছয়জন লোক ছিল। দুর্বৃত্তরা তাদের মারপিট করে টাকার চারটি বক্স নিয়ে গাড়িতে করে পালিয়ে যায়। চার বক্সে ১১ কোটি ২৫ লাখ টাকা ছিল।
পরবর্তীতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের টিম সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যায়। এরপর ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় টহল, থানা ও ডিবি পুলিশ টাকা উদ্ধার ও দুর্বৃত্তদের ধরতে কাজ শুরু করে। এক পর্যায়ে উত্তরা এলাকা থেকে পালানোর সময় তিনটি বক্সসহ সাতজকে আটক করা হয়।
টাকা লুটের ঘটনা পরিকল্পিত জানিয়ে ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, দুর্বৃত্তরা মানি প্ল্যান্ট লিংক সিকিউরিটিজ কোম্পানি লিমিটেডের টাকা আনা-নেওয়ার বিষয়টি অনেক দিন ধরে ফলো করছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য সিকিউরিটি কোম্পানির লোকদের হাতে কোনো অস্ত্র ছিল না।
এ ঘটনায় মানি প্ল্যান্ট লিংক সিকিউরিটিজ কোম্পানি লিমিটেডের দুজন পরিচালকসহ সাতজনকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ডিবি উত্তরের যুগ্ম কমিশনার খন্দকার নুরুন্নবী বলেন, সিকিউরিটিজ কোম্পানির লোকদের কোনো ধরনের অস্ত্র ছাড়াই এতগুলো টাকা পরিবহনের বিষয়টি সন্দেহজনক। নিয়ম থাকলেও তারা পুলিশকেও বিষয়টি অবহিত করেননি। তাদের দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।